বগালেক ও কেওক্রাডং বান্দরবানের গহীনে লুকিয়ে থাকা অপার সৌন্দর্যের আধার! সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তেরশ’ ফুট উপরে পাহাড়ের মাঝে প্রাকৃতিক এ লেক এবং পাহাড় চূড়া ভ্রমণ না করলে সারাজীবন ভ্রমণের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন। অবস্থানবগালেক ও কেওক্রাডং বান্দরবান শহর থেকে যথাক্রমে ৬০ ও ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। দুর্গম এ অঞ্চলে যেতে হলে পথচলার কষ্ট সহ্য করার মতো মন-মানসিকতা থাকতে হবে। বিশেষ করে রুমা থেকে বগালেক যাওয়ার পথটি এবড়োথেবড়ো, যথেষ্ট উঠা-নামার পথ। আর গাড়িতে চলার সময় পাবেন ধুলা। তবে এ পথচলায় যে অ্যাডভেঞ্চার আছে, বাংলাদেশের আর কোথাও পাবেন না!থাকার ব্যবস্থাবগালেকে যে সব কটেজ আছে, সেগুলো সাদামাটা টাইপের। এক রুমে ছয়-সাত জন করে থাকা যায়। তবে স্বামী-স্ত্রীর জন্য আলাদা রুমের ব্যবস্থা করে নিতে হয়। এছাড়া মহিলাদের জন্য আলাদা কটেজের ব্যবস্থা আছে।স্মরণীয়রুমা থেকে বগালেক ও কেওক্রাডং যাওয়ার পথে কয়েকটি সেনাক্যাম্পে রিপোর্ট করতে হয়। তাই কোনো ক্যাম্পে বিরক্তি প্রকাশ করবেন না।সঙ্গে যা নেবেন* ব্যকপ্যাক* জাতীয় পরিচয়পত্র* মোবাইল চার্জার, ব্যাকআপ ব্যটারি, প্রয়োজনীয় সিম, টর্চ।* সানগ্লাস, ক্যাপ, সানস্ক্রিন লোশন* মাস্ক* পানির বোতল, টুথপেস্ট, টুথব্রাশ* প্রয়োজনীয় কাপড় চোপড়* ফাস্ট এইড, স্যালাইন, প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র* ট্রেকিং স্যান্ডেল।সতর্কতা১. বগালেকে অযথা সাঁতার কাটার সাহস দেখাতে যাবেন না। বগালেকে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটার পর এই বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। ২. গোসল করার সময় শুধু পাড়ে নেমে কাজ সেরে ফেলুন।৩. আদিবাসী মানুষের অনুমতি না নিয়ে ছবি তোলা ঠিক নয়।৪. যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না। ময়লাগুলো ব্যাগে জমিয়ে রাখুন। বগালেক ও কেওক্রাডংয়ে ডাস্টবিন আছে, সেখানে ফেলুন।৫. গাইডের নির্দেশনা মেনে চলার চেষ্টা করুন।যেভাবে যাবেনঢাকা থেকে বান্দরবান বাসে যেতে পারেন। শহরে পৌঁছে কোনো হোটেলে উঠতে হবে। অথবা ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে বাসে বান্দরবান যেতে পারেন।এসইউ/জেআইএম
Advertisement