এক সময়ের দাপুটে অভিনেতা ও স্বনামধন্য আবৃত্তিকার গোলাম মুস্তাফার জন্মদিন আজ, ২ মার্চ। বরিশালের পিরোজপুরে ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন এই অভিনেতা। বেঁচে থাকলে এবারে তিনি ৮৩ বছরে পা রাখতেন।ষাট দশকের শুরুর দিকে মূলত খল চরিত্রে অভিনয় করে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক হয় তার। এরপর দিনে দিনে একক ও অপ্রতিদ্বন্দী অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি। জীবদ্দশায় প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।তার উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হচ্ছে- রাজধানীর বুকে , হারানো দিন , চাকা, নাচঘর, কাজল, বন্ধন, ফির মিলেঙ্গে হাম দোনো, বেগানা, চাওয়া পাওয়া, দাসী, দুই রাজকুমার, বলাকা মন, হিসাব নিকাশ, শুভদা, এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী, পীরিত না জানে রীত, চোখাই, তালাশ, আলিবাবার চল্লিশ চোর, নিজেকে হারায়ে খুজি, রক্তাক্ত বাংলা, তিতাস একটি নদীর নাম, সূর্যসংগ্রাম, দোষী, শ্লোগান, অন্যায় অবিচার, ব্যথার দান, সুরুজ মিয়া, সীমানা পেড়িয়ে, সারেং বউ, পদ্মা নদীর মাঝি, চন্দ্রনাথ, দেবদাস, আশা ভালোবাসা, জীবন সংসার, দীপু নাম্বার টু, শ্রাবণ মেঘের দিন।গোলাম মুস্তাফা ঢাকা টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকে নাটকে অভিনয় শুরু করেন। প্রথমদিকে ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৬৯ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি নাটকে নায়ক চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হচ্ছে- গুপ্তধন, অর্পিতা, হিতঙ্কর, পাথরে ফুটাবো ফুল, যুবরাজ, অস্তরাগে।বেতার সহকর্মী হোসনে আরার প্রেমে পরে ১৯৫৮ সালে তাকে বিয়ে করেন। তাদের মেয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। জামাতা হুমায়ুন ফরীদিও ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তী অভিনেতা।গোলাম মুস্তাফা ১৯৮০ সালে সেরা পার্শ্বচরিত্র অভিনেতা এবং ১৯৮৬ সালে সেরা অভিনেতার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০০১ সালে পান একুশে পদক । তিনি বাচসাস পুরস্কারও পেয়েছেন।২০০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান এই অভিনেতা।এনই/এলএ
Advertisement