নারায়ণগঞ্জের আলোচিত চাঞ্চল্যকর সেভেন মার্ডারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ভারতে গ্রেফতার হলেও মামলার তদন্তকারী সংস্থার দৃষ্টিতে এখনো ‘পলাতক’। সেভেন মার্ডারের ঘটনায় বুধবার নারায়ণগঞ্জের আদালতে দায়ের করা চার্জশিটে নূর হোসেনসহ অভিযুক্ত ১৩ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিউদ্দিন সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে নূর হোসেন সম্পর্কে জানান, নূর হোসেনেক দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু, আমরা ঘটনার ৬ মাসের মধ্যেই মামলার অনেকাংশ কাজ এগিয়ে নিয়েছিলাম। নূর হোসেনের জন্য অপেক্ষাও করা হয়েছিল। কিন্তু, একজনের জন্য এতদিন অপেক্ষা করতে গেলে আরো বিলম্ব হতো। যেহেতু মামলাটি চাঞ্চল্যকর সেহেতু নূর হোসেনকে ছাড়াই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। তবে নূর হোসেন দেশে ফিরে আসলে তার স্থান হবে কারাগারেই। সম্পূর্ণ পেশাদারিত্ব নিয়েই মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।মামলায় গ্রেফতার হয়ে অব্যাহতি পেয়েছেন ওই ১০ জন হলো নূর হোসেনের বডিগার্ড মহিবুল্লাহ, তানভীর, ইয়াসিন, আলমগীর, গাড়িচালক সোনা মিয়া, জুয়েল আহম্মেদ, মিজান, আবদুর রহিম, আরিফুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম। এছাড়া রাজীব নামের একজনের পূর্ণাঙ্গ নাম ও পরিচয় না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত ৩৫ জনের মধ্যে ১৩ জনকে পলাতক দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে সহযোগীসহ নূর হোসেনকে ৫ জন ও র্যাবের ৮ সদস্যের নাম রয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত ৩৫ জনের মধ্যে ২২ জন গ্রেফতার রয়েছেন। তারা হলেন, চাকরিচ্যুত র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক মোহাম্মদ সাঈদ, উপ-অধিনায়ক মেজর আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার এম এম রানা, ল্যান্সনায়েক বিল্লাল হোসেন, সাবেক এসআই পুর্ণেন্দু বালা, হাবিলদার মো. ইমদাদুল হক, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স কর্পোরাল রুহুল আমিন, সিপাহী আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. সিহাব উদ্দিন, রেডিও অপারেটর গেইন (আরওজি) মো. আরিফ হোসেন, এএসআই বজলুর রহমান, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, হাবিলদার ও গাড়ি চালক নাসিরউদ্দিন, সিপাহি নুরুজ্জামান, বাবুল হাছান, সিপাহী সাবেক সেনা সদস্য আসাদুজ্জামান এবং নূর হোসেনের প্রধান বডিগার্ড মর্তুজা জামান চার্চিল, প্রধান ক্যাশিয়ার আলী মোহাম্মদ, ক্যাশিয়ার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ প্রচার সম্পাদক আবুল বাশার, মাদক স্পট, জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য পরিচালনাকারী রহম আলী ও মিজানুর রহমান। এমএএস
Advertisement