শ্রীলঙ্কা দল একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ দিয়ে আবির্ভূত হয় বিশ্ব ক্রিকেটে। তাদের বিশ্বকাপে পথচলা শুরু ১৯৭৫ সালে। পরের বিশ্বকাপেও লঙ্কানরা অংশ নেয়। এরপর হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে চলা। নব্বইয়ের দশকে লঙ্কানদের উত্থান। যে উত্থান ছিল চোখে পড়ার মতোই। ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপে তো শিরোপাই ঘরে তোলে শ্রীলঙ্কা। সনাথ জয়সুরিয়া, রমেশ কালুভিতারানা, অরবিন্দ ডি সিলভা, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, মুত্তিয়া মুরালিধরন ও চামিন্ডা ভাসের মতো এক ঝাঁক মেধাবী ক্রিকেটারকে নিয়ে বিশ্ব জয় করে ভারত মহাসাগরের ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রটি।আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকে শ্রীলঙ্কা টেস্ট স্ট্যাটাস পায় ১৯৮১ সালে। এই ফরম্যাটেও তারা ধীরে ধীরে মানিয়ে নেয়। এখন তো শ্রীলঙ্কা সমীহ জাগিয়ানা দল। মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারাদের মতো ক্রিকেটারদের নিয়ে দাপটের সঙ্গেই খেলেছে তারা। সাঙ্গা-মাহেলার বিদায়ের পরও গত বছর অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করেছে শ্রীলঙ্কা। টাইগারদের সাম্প্রতিক ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ও সাফল্যে অনেকে তো নব্বইয়ের শ্রীলঙ্কার উত্থানই দেখছেন বাংলাদেশ দলের মাঝে। মুশফিক-সাকিব-তামিমদের প্রধান কোচ হাথুরুসিংহেও মনে করছেন তা-ই। টাইগারদের উন্নতিতে খুশি এই লঙ্কান কোচ।মুশফিক-মিরাজদের নিয়ে শ্রীলঙ্কায়ই রয়েছেন হাথুরু। নিজ দেশের বিপক্ষে খেলতে মুখিতে তিনি। বলেন, ‘আমি এই ভেবে খুশি যে শ্রীলঙ্কা সফরে আছি। এই সুবাদে আমার মাকে দেখার সুযোগ পেলাম। বেশ কয়েক বছর ধরেই অনেক সমর্থন ও অনুপ্রেরণা পাচ্ছি।’বাংলাদেশ দলের মাঝে নব্বইয়ের শ্রীলঙ্কার ছায়া নিয়ে হাথুরু বলেন, ‘আমি যখন শ্রীলঙ্কার হয়ে খেলেছি; তখনকার শ্রীলঙ্কার দৃশ্যই ছিল এখনকার বাংলাদেশের মতো। শেখার মধ্য দিয়েই এগোচ্ছিলাম। নব্বইয়ের মাঝামাঝি সময়ে আমাদের সব কিছুতেই পরিবর্তন আসে। আমি বলবো, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অবস্থা সেরকমই।’এনইউ/আরআইপি
Advertisement