টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বুঝি একেই বলে। ম্যাচের একেবারে শেষ বল পর্যন্ত নাটকীয়তা; কিন্তু পিএসএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারের শেষ মুহূর্তে যে নাটকীয়তার তৈরি হয়েছে তা রীতিমত বর্ণনাহীন। এমনও ম্যাচ হয়!শেষ ওভারে পেশোয়ারের প্রয়োজন ছিল ৭ রান। উইকেটে ড্যারেন স্যামি আর ক্রিস জর্ডান। টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট দু’জনই। ২০১ রান তাড়া করতে নেমে নিশ্চিত জিতে যাচ্ছে পেশোয়ার; কিন্তু চরম নাটকীয়তা শেষে জয়ের হাসি হাসলো কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স।শেষ ওভারে কোয়েটার বোলার বাম হাতি অর্থোডক্স মোহাম্মদ নওয়াজ। তার প্রথম বল গেলো ডট। স্যামি কোনো রান নিতে পারেননি। দ্বিতীয় বলেই মারলেন বাউন্ডারি। চার বলে লাগে তিন রান। তৃতীয় বলে স্যামি দৌড়ে নিলেন ১ রান।বল বাকি তিনটি, রান লাগবে ২। এ সময়ই চরম দুর্ভাগ্যের শিকার পেশোয়ার। ইনিংসের চতুর্থ বলেই আউট ক্রিস জর্ডান ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে সরফরাজের হাতে। পঞ্চম বলে আবারও আউট। এবার আর বোলার উইকেট পেলেন না। রান আউট হলেন। পরপর দুই বল দুই উইকেট। শেষ বলে আশা যদি কিছু করা যায়; কিন্তু শেষ বলেও দুর্ভাগ্য। এবারও উইকেট। শেষ বলেই পেশোয়ার উইকেট হারালো। রানআউট হয়ে গেলেন হাসান আলি। টানা তিন বলে তিনটা আউট। শেষ তিন বলে ২ রান আর নেয়া হলো না পেশোয়ারের।দুর্দান্ত এক হাই স্কোরিং ম্যাচ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২০০ রানের বিশাল এক সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে দেয় পেশোয়ারের সামনে। ৩৮ বলে ৭১ রান করেন আহমেদ শেহজাদ। এছাড়া ২২ বল ৪০ রান করেন কেভিন পিটারসেন। জবাব দিতে নেমে পেশোয়ারের শুরুটা ছিল স্লো। তবে ধীরে ধীরে হাত খুলেছে তারা। ওপেনার ডেভিড মালান। ৩০ বলে তিনি করেন ৫৬ রান। ৮টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার। ৪৭ বলে ৭৭ রান করেন মোহাম্মদ হাফিজ। তিনি মারেন ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৬টি ছক্কার মার।১৩ বলে ৩৪ রান করেন আফ্রিদি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়েও মাত্র ১ রানের থ্রিলারের কারণে জিততে পারলো না সাকিব-তামিমদের দল। তবে হারলেও বিদায় নিচ্ছে না পেশোয়ার। তৃতীয় কোয়ালিফায়ারে তারা খেলবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের (ইসলামাবাদ ইউনাইটেড এবং করাচি কিংস) বিজয়ী দলের বিপক্ষে।
Advertisement
আইএইচএস/