জাতীয়

ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন অন্যথায় আমরা ব্যবস্থা নেব : এমপি আসলাম

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগে অঘোষিত ধর্মঘট পালনকারী পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন মিরপুরের স্থানীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক। মঙ্গলবার রাতে পরিবহন শ্রমিক-পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা পরিদর্শন করে তিনি এ আহ্বান জানান।তিনি এ সময় শ্রমিক সংগঠনের কোনো নেতৃবৃন্দকে না পেয়ে বলেন, আমি অনুরোধ করছি, আপনাদের কোনো নেতৃবৃন্দ আমরা পাইনি। আমি প্রথমে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সাঙ্গে আলোচনার জন্য তাদের কাছে গিয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি এরা কেউ শ্রমিক নেতা না। এর সবাই টোকাই, নাবালক। এদের সঙ্গে আর কী আলোচনা করবো। জনগণকে ভোগান্তিতে রেখে কোনো আন্দোলন হয় না। আমার নির্বাচনী এলাকা হিসেবে এই পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য আপনার ধর্মঘটা প্রত্যাহার করুন। নাহলে আমরা আমাদের এলাকা শান্ত রাখার জন্য যা যা করার দরকার তাই তাই করবো।আসলামুল হক বলেন, শুনেছি এখানে নাকি পুলিশের সঙ্গে গণ্ডগোল হয়েছে। আমি মিডিয়ার মাধ্যমে অনুরোধ করবো আপনারা এই ধর্মঘট প্রত্যাহার করুন। জনগণের কষ্ট হচ্ছে। হাজার জনগণ ভোগান্তি পোহাচ্ছে।পরিবহন শ্রমিক-পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা। পুলিশ কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে শ্রমিকরা গাবতলী টার্মিনাল এলাকা অবরুদ্ধ করে রেখেছে।এর আগে মঙ্গলবার বিকেল থেকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছিল। পুলিশ তাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করলে তারা একপর্যায়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের পর পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় তারা পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা র‌্যাকারে আগুন দেয়। এরপর পুলিশকে ধাওয়া করে পুলিশ বক্সেও আগুন দেয়।ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির আগুন নেভাতে এলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গাড়ি ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। অল্প সময়ের মধ্যেই শ্রমিকরা পুরো এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেয়। গাবতলী টার্মিনালের পশ্চিম দিক থেকে পুলিশ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে টিয়ার সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।এর আগে মঙ্গলবার বিকেল থেকে গাবতলী টার্মিনাল এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুর করে। পুলিশ তাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করলে তারা একপর্যায়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের পর পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় তারা পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা র‌্যাকারে আগুন দেয়। এরপর পুলিশকে ধাওয়া করে পুলিশ বক্সেও আগুন দেয়।এদিকে সারাদেশে চলমান পরিবহন ধর্মঘট দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত পরিবহন শ্রমিকেরা। সেই সঙ্গে আগামীকাল (বুধবার) পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার বাংলাদেশ আন্তজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান।মঙ্গলবার বিকেলে গাবতলীতে এক সমাবেশে বাংলাদেশ আন্তঃজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলামও নিজেদের এ অবস্থানের কথা জানান।এএস/জেইউ/এআর/বিএ

Advertisement