জাতীয়

বাস রাখার জায়গা নেই মহাখালী টার্মিনালে

সড়ক দুর্ঘটনার মামলায় দুই চালককে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে দেশের কয়েকটি বিভাগের অঘোষিত কর্মবিরতি পালন করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে রাজধানীর গুলিস্তান, সায়েদাবাদ, গাবতলীসহ প্রধান বাস টার্মিনালগুলো থেকে আজ (মঙ্গলবার) দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। একই অবস্থা মহাখালী বাস টার্মিনালেও। দূরপাল্লার সব বাস জমা হওয়ায় টার্মিনালটিতে বাস রাখার কোনো জায়গা নেই।সরেজমিনে মহাখালী বাস টার্মিনাল ও এর আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, একদিনে এতো সংখ্যক বাস টার্মিনালটিতে চলে আসায় এবং ঢাকা থেকে কোনো বাস ছেড়ে না যাওয়ায় বাস রাখার জায়গা সংকট দেখা দিয়েছে। টার্মিনানে জায়গা সংকটের কারণে মালিকরা তেজগাঁও, নাবিস্কো মোড়, তিব্বত ও এর আশপাশের এলাকার রাস্তা ও অলিগলিতে বাস রাখছেন।রাস্তায় পার্ক করা বাসের মধ্যে বিনিময় পরিবহন, এম এ এন্টারপ্রাইজ, ইসলামী পরিবহন, উজান-ভাটি পরিবহন, নিরব ট্রাভেলস, আলম এশিয়ার পরিবহনের বাস রয়েছে। এসব বাস মহাখালী থেকে ঢাকাসহ ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় যাত্রী পরিবহন করে। পরিবহন শ্রমিকদের এ ধর্মঘটে বিপাকে পড়েছে শত শত যাত্রী। মহাখালী টার্মিনালে কেউ বসে, কেউ শুয়ে, কেউ আবার ব্যাগ হাতে সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।ইসলামী পরিবহনের বাসচালক সারোয়ার জাগো নিউজকে জানান, হরতালের কারণে সকাল থেকে গাড়ি কম তাই টার্মিনালে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় রেখেছি। সবাই আমাদের আন্দোলনের কথা জানে তাই পুলিশ কিংবা অন্য কেউ গাড়ি রাখতে বাধা দেয়নি।এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল কালাম জাগো নিউজকে বলেন, গাড়ি চালানো না চালানো চালকদের একান্ত সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্ত নেয়া তাদের মৌলিক অধিকার। সম্প্রতি এক চালকের যাবজ্জীবন ও ফাঁসির রায়ের পর তারা টার্মিনালে চাবি জমা দিয়ে গেছে। বলেছে, তারা জেল খাটতে চায় না।উল্লেখ্য, ঢাকার সাভারে ট্রাকচাপায় এক নারী নিহতের ঘটনায় গতকাল সোমবার ট্রাকচালক মীর হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া পরিচালক তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীর নিহতের বাসচালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন মানিকগঞ্জের আদালত। এই রায় ঘোষণার পর থেকেই ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি বিভাগে অঘোষিত কর্মবিরতি পালন করে আসছে তারা।এআর/আরএস/জেআইএম

Advertisement