ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, ইসলামের নামে সন্ত্রাস-গণহত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাই বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গিবাদ দমনে সম্মিলিতভাবে কাজ করবে ইসলামী দেশগুলোর সংসদ সদস্যরা। ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে সদ্য সমাপ্ত ইন্টারপার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ডেপুটি স্পিকার বলেন, তিস্তা ও সীমান্ত চুক্তির ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ সফর করবেন বলে জানিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরকালে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন, সীমান্ত চুক্তিসহ আরও বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি আইপিইউ সম্মেলনে এসব নিয়ে আলোচনা হয় বলে তিনি জানান। আইপিইউ এর ১৩২তম সম্মেলন যোগদান শেষে এ উপলক্ষ্যে বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেসব্রিফিং একথা বলেন তিনি। ভিয়েতনামের হেনয়ে ২৮ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশের সংসদীয় দল অংশ নেন। আর আইপিইউভুক্ত বিভিন্ন দেশের স্পিকার ও এমপিদেরাও এতে অংশ নেন। ডেপুটি স্পিকার বলেন, পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন অব ওআইসি মেম্বার কান্ট্রিস (পিইউআইসি) এর সঙ্গে বৈঠককালে আমার বক্তব্য ছিল : ইসলামের নামে সকল প্রকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বন্ধ করতে হবে। ইসলাম সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে কখনো সমর্থন করে না। সকল প্রকার সন্ত্রাস বন্ধে সংসদ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ইসলামের নামে সকল প্রকার সন্ত্রাস বন্ধে এমপিরা একমত হয়েছেন। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, প্যালেস্টাইন ও সিরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ইসলামের নামে উগ্রপন্থী সন্ত্রাসীরা নারী ও শিশুদের উপর যে নারকীয় হামলা চালাচ্ছে সেটা নিন্দনীয় অপরাধ। এ সকল সন্ত্রাস বন্ধে সকল ইসলামী রাষ্ট্রসমূহের সংসদ সদস্যদের এগিয়ে আসতে হবে এবং এ ধরনের সন্ত্রাসের বিপক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে হবে।তিনি বলেন, আমার বক্তব্যে আমি এ বিষয়টা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যে, টেকসই উনয়নের জন্য জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত ক্ষেত্র তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংসদ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার প্রয়োজন। পার্লামেন্টের উচিত জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে বাজেটে টেকসই উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়া। ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, এক পার্শ্ব বৈঠকে আমি ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। সাক্ষাৎকালে আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দেলনে ভারতের সহোযোগিতা, সিপিএ নির্বাচনে বাংলাদেশকে সমর্থনসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূুলক কাজে সহযোগিতার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানাই। আমার সাথে ভুটান ও মালদ্বীপের স্পিকারের সাথে সাক্ষাত হয় এবং দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও আমার সাথে যুক্তরাজ্য, শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। বৈঠকে উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রেসবিফ্রিংয়ে সাবেক আবুল কালাম আজাদ এমপি, নূরুল ইসলাম এমপি ও সংসদের সিনিয়র সচিব আশরাফুল মকবুল উপস্থিত ছিলেন। বিএ/পিআর
Advertisement