রাজনীতি

জনগণের পকেট কেটে লুটেরাদের স্বার্থে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি

জনগণের পকেট কেটে মন্ত্রী, অসাদু ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির বন্দোবস্ত করেছে সরকার।  অনির্বাচিত এ সরকার যে অগণতান্ত্রিক তারই প্রমাণ গ্যাসের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত।গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে মঙ্গলবার অর্ধদিবস হরতাল চলাকালে পল্টন মোড় অবরোধ করেছে বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও সিপিবি। সেখানে হরতালের সমর্থনে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন বাম নেতারা।মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে এ হরতাল শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে সকাল থেকেই পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় অবরোধের চেষ্টা চালায় হরতাল সমর্থনকারীরা। পুলিশী বাধায় নিরুত্তাপ হরতালের মাঝেও যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। হরতাল সমর্থনকারীরা পল্টন মোড় দীর্ঘ সময় অবরোধ করে রাখে।সরেজমিনে দেখা যায়, পল্টন মোড়ে প্রগতিশীল দলের নেতাকর্মীদের তেল-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের  ব্যানার হাতে হরতালের পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায়।গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার নেত্রী বন্নি শিখা বলেন, সরকার জণগনের পকেট কেটে কাদের স্বার্থ রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে? সবাই জানি এই সরকার অনির্বাচিত। মন্ত্রী ও স্বার্থান্বেষী সরকার দলীয় ব্যবসায়ী মহলেরর সুবিধা ও মুনাফার জন্য গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। তিনি বলেন, একদিকে সরকার বলছে, দেশের অর্থনীতি নাকি উদ্বৃত্ত। অন্যদিকে সবকিছুর দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি করছে সরকার। সরকারের দুতিয়ালি আচরণে জনগণের জীবন উষ্ঠাগত।বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সূত্রাপুর থানা সভাপতি গোলাম রাব্বি বলেন, হরতাল চলছে চলবে। কোনো ভাবেই সরকারকে জনগণ বিরোধী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা ও গণসংহতি আন্দোলন এই হরতালের ডাক দিয়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত হরতাল চলবে।উল্লেখ্য, এসএসসি পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষার সব কাজ এবং অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, হাসপাতাল-অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্র-প্রচারমাধ্যম, জরুরি গ্যাস ও বিদ্যুতের কাজ হরতালের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। জেইউ/এমএমজেড/আরআইপি

Advertisement