টেস্টের রানের প্রয়োজন আছে। তার চেয়েও বড় কথা; ক্রিজে ধৈর্যের পরিচয় দেয়া। সেট হয়ে ইনিংসটাকে লম্বা করা। দেখে-শুনে প্রতিপক্ষ বোলারদের মোকাবেলা করা। মারার বল পেলে মারা। কঠিন বলগুলো ছেড়ে দেয়া। যা প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেয়।নিউজিল্যান্ড সফরে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে যখন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা উইকেট পতনের মিছিলে যোগ দিচ্ছিলেন, তখন ব্যাট হাতে চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। শেষ পর্যন্ত ৬৩ বলে ২ রান করে রাব্বি হার মেনেছেন সাউদির এক দুর্দান্ত ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে। এরপর হায়দরাবাদ টেস্টেও দেখা গেল সেই ধৈর্যশীল রাব্বিকে। চতুর্থ দিনের শেষ সেশন থেকে ম্যাচের পরিস্থিতি যখন দাবি করছিল উইকেটে টিকে থাকা; তখন সেই বিষয়ে মনোযোগ দিতে দেখা যায়নি বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। তারকা সিনিয়র ব্যাটসম্যানরা অযথা শট খেলতে গিয়ে আউট হন। ঠিক তখনই সময়ের দাবি অনুযায়ী অসাধারণ টেস্ট ব্যাটিং দেখান রাব্বি। মোট ৭০ বল খেলে সংগ্রহ করেন মাত্র ৩* রান! তাকে আউট করতে গিয়ে ঘাম ছুটে যাচ্ছিল ভারতীয় বোলারদের। এক কথায়, টেস্ট ব্যাটসম্যান বলতে যা বুঝায়!ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট খেলে ফেলেছেন রাব্বি। শ্রীলঙ্কা সফরেও বাংলাদেশ দলে আছেন। সুযোগ পেলে বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও অবদান রাখতে চান এই পেসার। আজ শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে উড়াল দেয়ার আগে রাব্বি জানান এমনটাই।সাংবাদিকদের রাব্বি বলেন, ‘ব্যাটিংটা ভালো হচ্ছে। নিজের সাধ্যমতো খেলার চেষ্টা করছি। কিন্তু বোলিংই আমার প্রধান কাজ। দলের প্রয়োজনে নিজেকে উজাড় করে দেয়ার চেষ্টা করি। আমার পরিকল্পনা থাকবে; (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে) ব্যাটিংয়ে আমি অবদান রাখা। এবার বোলিংটা আরও ভালো করার চেষ্টা করবো।’তিনি আরো যোগ করেন, ‘আমি মাত্র শুরু করেছি। মাত্র পাঁচটি টেস্ট খেলেছি। আমি আরও টেস্ট খেলতে চাই। বেশি ম্যাচ খেললে অনেক শেখা যায়। আগের ম্যাচগুলো থেকে অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো।’আরটি/এনইউ/পিআর
Advertisement