দেশজুড়ে

শিশুরাই ভোটার শিশুরাই কর্মকর্তা

স্কুল ড্রেস পরা তিন শতাধিক ক্ষুদে ভোটার রোদের তীব্র উত্তাপ উপেক্ষা করে ভোটাধিকার প্রয়োগের অপেক্ষায়। স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনে তাদের ভোটেই নির্বাচিত হবে নেতা। বিদ্যালয় ভবনের একটি কক্ষের দুইটি বুথে চলে ভোটগ্রহণ। শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেই নির্বাচন পরিচালনায় রাখা হয় নির্বাচন কমিশন, প্রিসাইডিং-পোলিং অফিসার ও এজেন্ট। বিশৃঙ্খলা এড়াতে রয়েছে আনসার, স্বেচ্ছাসেবী ও পুলিশ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরেই এতো আয়োজন। কোমলমতি শিক্ষার্থীরাই বিভিন্ন ভূমিকায় এসব দায়িত্ব পালন করে। সোমবার সরেজমিনে এমন চিত্রই দেখা গেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনে ভোটগ্রহণের চিত্র। এমন উৎসবমূখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন জানান, ছোট থেকেই শিশুদের জয়-পরাজয় মেনে নেয়ার মনোভাব তৈরি হবে। শিশুদের ভেতর গণতন্ত্রের চর্চা বিকশিত, নেতৃত্ব গঠন ও নির্বাচন সম্পর্কে ধারণা সৃষ্টি করতেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের এ ভোট নেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, ভূঞাপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০৭ জন শিক্ষার্থী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। ১১জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এদের মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০৯ জন ও ছাত্রী ভোটার ১৯৮ জন। এদের মধ্যে ৭ জন বিজয়ী হয়েছেন।সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মাঠে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা ভোট দেয়ার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কক্ষের ভেতরে প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং ও পোলিং এজেন্ট ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে ক্লাব-স্কাউটিংয়ের দল। সকলেই ক্ষুদে শিক্ষার্থী। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে ছাত্রদের মধ্যে থেকে একজন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বও পালন করছে। কোনো রকম বিশৃঙ্খলা ছাড়াই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক শিশু শিক্ষার্থী ও ভোটাররা জানায়, ভোট কী এবং কীভাবে ভোট দিতে হয় সেটা এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেখলাম এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করলাম। এতে জয়-পরাজয় মেনে নেয়ার মানসিকতা তৈরি হবে। আরিফ উর রহমান টগর/এএম/পিআর

Advertisement