আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হককে সিনিয়র সচিব হিসেবে ২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপূর্বক তার বর্তমান কর্মস্থল আইন মন্ত্রণালয়ে পদায়ন করা হয়েছে। রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ-১ অধিশাখা থেকে উপ-সচিব সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোহাম্মদ শহিদুল হক ১৯৫৫ সালের ১৩ নভেম্বর নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে সম্মানসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর ’৮২ সালের নিয়মিত ব্যাচে বিসিএস (বিচার) ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে মুন্সেফ পদে যোগদান করেন। তিনি বিভিন্ন সময় মুন্সেফ, সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, সাব-জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সালের জুনে উপ-সচিব (ড্রাফটিং) হিসেবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যোগদানের পর ২০০০ সালে জেলা জজ পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ২০০০ সালে যুগ্ম-সচিব (ড্রাফটিং) এবং ২০০৮ সালে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে লেজিসলেটিভ ড্রাফটিং উইং প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার হাতেই ২০০৯ সালে তা বিভাগে উন্নীত হয়। বিভাগ সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই শহিদুল হক সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে অবসর গ্রহণের পর প্রথম দফায় এক বছর এবং দ্বিতীয় দফায় দুই বছর মেয়াদে তাকে ওই বিভাগের সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাকে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এ সময়কালে একাধিকবার সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ১৯৭৫ ও ১৯৮২ সালে জারিকৃত সামরিক শাসন বহাল থাকাকালে অসাংবিধানিক পন্থায় প্রণীত ৫৪৬টি অধ্যাদেশ সাময়িকভাবে বহাল রাখা সম্পর্কিত কতিপয় আইন প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এমইউ/ওআর/আরআইপি
Advertisement