জাতীয়

গ্রামীণ অর্থনীতির বিপ্লব ই-কৃষক : ইনু

ইন্টারনেটে বাংলায় কৃষি-তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগ কৃষিকে লাভজনক করার পাশাপাশি সামাজিক-অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাসে অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভলপমেন্ট (বিআইআইডি) এবং গ্রামীণ ফোনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ’আগামীর কৃষক, ই-কৃষক’ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।মন্ত্রী বলেন, কৃষিতে তথ্যপ্রযুক্তি সংযোগের ফলে কৃষকরা ঘরে বসেই আবহাওয়া, মাটির প্রকৃতি অনুসারে চাষপদ্ধতিসহ উৎপাদন, বিপণন ও সংরক্ষণ বিষয়ে জানতে পারছেন। এই ‘ই-কৃষকরাই` গ্রামীণ অর্থনীতিতে বিপ্লব বয়ে আনতে সক্ষম হবেন।বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস এবং বাংলাদেশ বীজ সমিতির প্রেসিডেন্ট আনিস উদ-দৌলা বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।‘আগামীর কৃষক, ই-কৃষক’ কর্মসূচির আওতায় কৃষিতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও কৃষকসহ সকলের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সচেতনতামূলক ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনা সংগ্রহ করে সেরা দশজন পরিকল্পনাকারী, সেরা কৃষি কর্মকর্তা ও সেরা উদ্যোক্তাদের অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয়। তথ্যমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।হাসানুল হক ইনু বলেন, সমালোচনা ও বিরূপ মন্তব্য উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রী যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তা দেশকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মহাসড়কে যুক্ত করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছে।পাগল ও আগুন সন্ত্রাসীরা যতই অপচেষ্টা করুক না কেন, বাংলাদেশ আর পেছনে যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিকল্পনা, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং-এর পরিচালক এস এম আবু জার, বিআইআইডি’র প্রধান নির্বাহী মো. শহীদ উদ্দীন আকবর এবং গ্রামীণফোন যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক মার্কাস এডাক্টাসন এসময় কৃষিতে তথ্যপ্রযুক্তি সংযোগের তাৎপর্য তুলে ধরেন।সেরা পরিকল্পনাকারীদের মধ্যে ঠাকুরগাঁয়ের কবীর আহমেদ, সেরা কৃষি কর্মকর্তাদের মধ্যে খূলনার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম ও সেরা উদ্যোক্তাদের মধ্যে মানিকগঞ্জের মো. তসলিম বিশ্বাস প্রথম স্থান লাভ করেন।একে/আরআই

Advertisement