খেলাধুলা

ইসলামাবাদকে হারিয়ে শেষ চারে করাচি

শেষ চারে যাওয়ার রাস্তাটা আগেই অনেকটা পরিস্কার করে রেখেছিল মিসবাহ-উল হকের দল ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। করাচি কিংসের বিপক্ষে তাদের ম্যাচটি ছিল পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ওঠার মিশন। আবার করাচির জন্য ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার। শেষ চারে যেতে হলে জিততেই হবে। কারণ, এটা ছিল তাদের এবং পিএসএলের সর্বশেষ লিগ ম্যাচ।এমনই এক সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে অনায়াসেই প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করে নিয়েছে শোয়েব মালিক-কুমার সাঙ্গাকারার দল করাচি কিংস। শুধু তাই নয়, পয়েন্ট টেবিলে তারা হয়েছে তৃতীয় আর ইসলামাবাদ হয়েছে চতুর্থ। কপাল পুড়েছে লাহোর কালান্দার্সের। ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় নিয়েছে তারা।দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হতে বেশ বিলম্ব ঘটে যায়। অবশেষে খেলা যখন শুরু করা হলো, তখন ৫ ওভার করে কেটে নেয়া হলো দুই দলের কাছ থেকেই। ১৫ ওভারের ম্যাচে টস জিতে ইসলামাবাদকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান করাচির অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারা। ব্যাট করতে নেমে ডোয়াইন স্মিথ আর বেন ডাকেট মিলে ভালোই সূচনা এনে দেন ইসলামাবাদকে। ৩৭ রানের জুটি গড়ার পর বিচ্ছিন্ন হন দু’জন। ডাকেট ১৬ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর অবশ্য আর কোনো ব্যাটসম্যান তেমন দাঁড়াতে পারেননি, স্মিথ ছাড়া। শুধুমাত্র ব্র্যাড হ্যাডিন করেন ১২ বলে ২০ রান। সর্বোচ্চ ৪৯ রান এসেছে ডোয়াইন স্মিথের ব্যাট থেকে। ৩৬ বলে ৭টি বাউন্ডারি এবং ১টি ছক্কায় ইনিংস সাজান তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান সংগ্রহ করে ইসলামাবাদ। করাচির হয়ে মোহাম্মদ আমির, সোহেল খান এবং উসমান খান নেন ২টি করে উইকেট।জবাব দিতে নেমে ১ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় করাচি। বাবর আজম আর ক্রিস গেইলই জয়ের ভিত গড়ে দেন। দু’জন মিলে ৩৬ বলে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। মাত্র ১৭ বলে টর্নেডো ঝড় তোলেন গেইল। ২ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় করেন ৪৪ রান। তিনিই আগে আউট হন, সাঈদ আজমলের বলে। ২৭ বলে ২৭ রান করে আউট হন বাবর আজম। তবে গেইল যে ঝড় তুলে দিয়ে গেছেন, সেটাকে শেষ দিকে টেনে নিয়ে গেলেন কিয়েরন পোলার্ড আর রবি বোপারা। ১৩ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন পোলার্ড আর ১০ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন রবি বোপারা। ১২৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শেষ পর্যন্ত ১৪.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে করাচি কিংস।আইএইচএস/

Advertisement