আগামী অর্থবছরের (২০১৭-১৮) বাজেটের আকার ৪ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো হতে পারে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এ বাজেটে তেমন কোনো চমক থাকছে না। সচরাচর বাজেটে যা থাকে এবারও তাই থাকবে। অপ্রয়োজনীয় কিছু বাজেটে থাকবে না। রোববার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে রাষ্ট্রীয় এই অতিথি ভবনে বাংলাদেশ ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশন (বিইএ), বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এবং ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপ (ইআরজি)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা করেন অর্থমন্ত্রী। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) প্রতিনিধিদের দেওয়াত দেয়া হলেও সংগঠনটির কেউ আলোনায় অংশগ্রহণ করেননি।অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রজেকশন ছিল বাজেট হবে ৪ লাখ কোটি টাকার। আমি নিজে চাচ্ছি ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। বাজেট হবে সাদামাটা। এতে অপ্রয়োজনীয় কিছু রাখবো না। বাজেটের আকার গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে বাজেটের আকার বাড়াতে হয়। ‘ব্যাংকিং খাত নিয়ে কথা হয়েছে। এটি ডেভলপমেন্ট সেক্টর। কিন্তু সেখানে কিছু ফাঁকি-ঝুঁকি আছে। বিশেষ করে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে। ব্যাংকিং অটোমেশনটাও এখন লিমিটেড, এটা বাড়ানো দরকার’ বলেন অর্থমন্ত্রী।তিনি বলেন, আর্থিক প্রতিবেদন একদম সঠিক হতে হবে। প্রথম দিকে এটি নিয়ে কথাবর্তা হয়েছিল। কিন্তু আমি এটি একদম ভুলে গেছি। ২০০৯-১০ দিকে এটি নিয়ে কথা হয়েছিল। আজকের বৈঠকে এটিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আগামী বাজাটে কোন দিক-নির্দেশনা থাকবে কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে মুহিত বলেন, আমরা বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে চেষ্টা করছি।ভ্যাট আইনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ভ্যাট আইন এবার বাস্তবায়ন হবেই। একটি বিষয় সংযোজন করা হয়েছে। অ্যাকাউন্টিং সমস্যার কারণে ভ্যাট চূড়ান্ত উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে।এমএএস/বিএ/জেআইএম
Advertisement