দেশজুড়ে

কুসিকে রাতেই ঘোষণা হতে পারে আ.লীগের মনোনয়ন

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) দ্বিতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন ঠিক করতে আজ (রোববার) রাতেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। হয়তো রাতেই মনোনয়নের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পর ভাগ্যবান মেয়র প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। তবে দলীয় কোন্দল নিরসন না করেই আওয়ামী লীগের হাফ ডজন প্রার্থী থেকে মেয়র প্রার্থী খুঁজে বের করতে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে। পরিস্থিতি যেন ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা।’ তাই দলের তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার আগে দলের কোন্দল নিরসনের দাবি জানিয়ে আসলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। অন্যদিকে শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সদ্য সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু দেখা করতে গেলে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আগামী ৩০ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে কুসিকের দ্বিতীয় নির্বাচন। পাঁচ বছর মেয়াদের শেষ দিনে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ক্ষমতা ছেড়েছেন নির্বাচিত প্রথম মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। এখন নগরজুড়ে আলোচনা কে হচ্ছেন কুসিকের দ্বিতীয় মেয়র। বিএনপি থেকে মনিরুল হক সাক্কুকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার পর সবার দৃষ্টি এখন আওয়ামী লীগের দিকে। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়ে আবেদন করেছেন কুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি আলহাজ মো. ওমর ফারুক।তার সঙ্গে আরও মনোনয়ন চেয়েছেন জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি আরফানুল হক রিফাত, আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শিকদার, জিএস জাকির হোসেন, কুমিল্লার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আফজল খান অ্যাডভোকেটের মেয়ে ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আঞ্জুম সুলতানা সীমা, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কবিরুল ইসলাম শিকদার, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নূর-উর-রহমান মাহমুদ তানিম। তবে আলহাজ ওমর ফারুক, আরফানুল হক রিফাত ও আঞ্জুম সুলতানা সীমার মধ্যে যে কেউ দলীয় মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন বলে দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে। কিন্তু কোন্দলে বিপর্যস্ত এখানকার আওয়ামী লীগের দলীয় বিরোধ নিরসন করেই মেয়র প্রার্থী ঘোষণা চেয়েছিল দলের তৃণমূল। ঢাকা থেকে মুঠোফোনে সদ্য বিদায়ী মেয়র ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু জানান, দলের নেত্রী জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে আমাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়া হয়েছে। সোমবার কুমিল্লায় এসে নেতাকর্মী ও আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে বৈঠক করে নির্বাচনী কর্মপরিকল্পনা ঠিক করবো।এদিকে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ ওমর ফারুক জানান, আওয়ামী লীগ অনেক বড় দল, এখানে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীও অনেক থাকবে। তবে এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে দলের সভানেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন, সেভাবেই আমরা কাজ করবো। জেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আরফানুল হক রিফাত বলেন, সদর আসনের এমপি হাজি আ ক ম বাহা উদ্দিন বাহারের নেতৃত্বে মহানগরীর উন্নয়নে মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। দল মনোনয়ন দিলে অবশ্যই নির্বাচন করবো। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আঞ্জুম সুলতানা সীমা বলেন, আমরা আওয়ামী পরিবারের সন্তান। দলের জন্য আমাদের পরিবারের অনেক ত্যাগ রয়েছে। আশা করি দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিটি নির্বাচনের মনোনয়ন থেকে আমার পরিবারকে বঞ্চিত করবেন না। মো. কামাল উদ্দিন/এএম/পিআর

Advertisement