জাতীয়

জমিদার বাড়িকে আবাসিক হোটেল করার সুপারিশ

প্রত্নতাত্ত্বিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশের এমন যেকোনো একটি রাজবাড়ি বা জমিদার বাড়িকে আবাসিক হোটেল হিসেবে গড়ে তোলার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এছাড়া এসব বাড়ি সংস্কারে বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার জন্য এবং পর্যটক আকর্ষণের জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।রোববার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৭তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন (রিমি) বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, কাজী কেরামত আলী এবং জেবুন্নেছা আফরোজ বৈঠকে অংশ নেন।বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন (রিমি) জাগো নিউজকে জানান, পরীক্ষামূলকভাবে দেশের যেকোনো একটি জমিদার বাড়িকে আবাসিক হোটেল করার সুপারিশ করা হয়। এটি সফল হলে পর্যায়ক্রমে আরও জমিদার বাড়িকে হোটেল করা যেতে পারে। এতে পর্যটক বাড়বে।জানা যায়, বৈঠকে অ্যালোকেশন অব বিজনেস অনুযায়ী সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সব উইং, অধিশাখা ও শাখার কাজ এবং বর্তমান সরকারের সময়ে সম্পাদিত কাজের এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন অধিদফতর/দফতরসমূহের ওয়েবপোর্টাল হালনাগাদকরণের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।কমিটি বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের টিকিট বিক্রি থেকে যে আয় হয় তার একটি নির্দিষ্ট অংশ ওই প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ব্যয় করার সুপারিশ করে।বৈঠকের শুরুতে দশম জাতীয় সংসদের সদস্য অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।এইচএস/বিএ/জেআইএম

Advertisement