রাজধানীর শাহজাহানপুরে পাইপে পড়ে শিশু জিহাদের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় রোববার ঘোষণা করা হবে। ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করবেন।রায়ে আসামি ও বাদীপক্ষ উভয়ই ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছেন। বাদীপক্ষের আইনজীবীরা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির আশা করছেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মামলার দায় হতে খালাস পাওয়ার আশা করছেন।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শওকত আলম জাগো নিউজকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। আমরা আশা করছি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে। আমরা আদালতের কাছে ন্যায়বিচারের প্রত্যাশা করছি।বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী জসিম উদ্দিন খান বলেন, আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আসামিদের বিরুদ্ধে যে আইনে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে তার সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ড হতে পারে।অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সফিউল আলম জাগো নিউজকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে রাষ্ট্রপক্ষ সক্ষম হয়নি। আমরা আশা করছি আসামিরা খালাস পাবেন। মামলায় আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।মামলায় বিভিন্ন সময়ে মোট ১৩ জন সাক্ষী আদালতে তাদের সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে সাফাই সাক্ষ্য পেশ করেন তিনজন। ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শাহজাহানপুরে রেলওয়ে কলোনির একটি পানির পাম্পে লোহার পাইপ দিয়ে কূপ খনন করা হয়। কূপে নিরাপদ ব্যবস্থা না করে মুখ খোলা অবস্থায় দীর্ঘদিন পরিত্যক্তভাবে ফেলে রাখা হয়। ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বাদীর ছেলে জিহাদ কূপের পাশে খেলার সময় পাইপে পড়ে মারা যায়। এ ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির ফকির ‘দায়িত্বে অবহেলায়’ জিহাদের মৃত্যুর অভিযোগ এনে শাহজাহানপুর থানায় মামলা করেন।২০১৬ সালের ৩১ মার্চ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মিজানুর রহমান রেলওয়ের সহকারী জ্যেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, দীপন কুমার ভৌমিক, নাসির উদ্দিন ঠিকাদার, শফিকুল ইসলাম ও ইলেকট্রিশিয়ান জাফর অহম্মেদ শাকি।জেএ/এমআরএম/এমএস
Advertisement