ভারতের মাটিতে জয় পাওয়া যেন ভুলতে বসেছিল। টিম ইন্ডিয়াকে তাদের ঘরে টেস্টে পরাজয়ের মালা পড়ানোর অপেক্ষাটা যে ১৩ বছরের। ২০০৪ সালে নাগপুর টেস্টে জয় পেয়েছিল অসিরা। এরপর বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যান, গতিময় পেসার, তারকা স্পিনার, ফিল্ডার; এমন অনেক শক্তি নিয়ে ভারত সফরে আসতো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু জয় থাকতো অধরাই। সেই জটলা থেকে নিজেদের মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পুনে টেস্টে অসি স্পিনার স্টিভেন ও’কেফির মায়াবি স্পিন জালে আটকা পড়েন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। আর তাতে ভারতকে ৩৩৩ রানে পরাজিত করে সফরকারীরা। সিরিজেও ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্টিভেন স্মিথের দল। টানা ১৯ টেস্টে অপরাজিত থাকার পর হঠাৎ ভারতের এমন ছন্দপতন কেন? নেপথ্যের কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। ব্যাটিং ব্যর্থতা তো চোখে পড়ার মতোই। ভারতের দুই ইনিংসের রান সংখ্যা যথাক্রমে ১০৫ ও ১০৭! ফিল্ডিংয়েও ক্যাচ মিস হয়েছে। বোলিংয়ে পুরনো ছন্দে পাওয়া যায়নি অশ্বিন-জাদেজাদের। নইলে কি আর রান খরায় থাকা পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসেসিয়েশন স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরি তুলে নেন স্মিথ?ম্যাচ শেষে তাই কোনো রাগঢাক না রেখে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি জানিয়ে দিলেন, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে সব বিভাগেই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ভারতীয়রা। অপরাজিত থাকার কীর্তিটা বাড়িয়ে নিতে না পারায় ভারত দলনেতার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে; তা বলা বাহুল্য।ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সব বিভাগেই আমাদের পরাজিত করেছে। আগের সিরিজগুলোতে বেশ ভালো পারফর্ম করেছি। পুনেতেও আমাদের সঙ্গে ছিল দর্শকদের সমর্থন। তবুও ম্যাচটা জিততে পারলাম না। বাস্তবতা মেনে নিতেই হবে। আমরা সব বিভাগেই ব্যর্থ। গত দুই বছরে আমরা এত খারাপ ব্যাটিং কখনো করিনি। এই টেস্টের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’ দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভারতের মাটিতে জয় পাওয়া অস্ট্রেলিয়া দলের প্রশংসা করতেও ভুল করেননি কোহলি। বলেন, ‘যোগ্য দল হিসেবেই অস্ট্রেলিয়া জিতেছে। জয়ের জন্য অসিদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। গোটা ম্যাচেই তারা আমাদের চাপে রেখেছে। এই টেস্টে দুটো সেশন অত্যন্ত বাজে খেলেছি। আর তাতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ গেছে স্মিথদের হাতে। তবে এই হারের জন্য কোনো অজুহাত দেবো না।’এনইউ/আরআইপি
Advertisement