ফিচার

জনপ্রিয়তা বাড়ছে সাইকেলের

যানজটের শহর ঢাকা। তাছাড়া বর্তমানে ঢাকার রাস্তায় পাবলিক পরিবহন বা বাসের সংখ্যা যাত্রীর তুলনায় কম। তাই প্রতিদিন অফিসমুখী ও অফিসফেরত যাত্রীদের কপালে জোটে চরম ভোগান্তি। তাই ঢাকার রাস্তায় বিকল্প যানবাহন হিসেবে সাইকেলের দেখা মিলছে বেশ। তরুণ প্রজন্মের কাছে সম্প্রতি সাইকেলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে।একজন বাস যাত্রী তার যাতায়াতের ভোগান্তির কথা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, "বাস পাওয়া এখন ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে! তাছাড়া বাসে উঠে বসার জায়গা পাওয়ার কথা তো চিন্তাই করা যায় না। তারপর বাসগুলোর সার্ভিস লোকাল হলেও তারা ভাড়া নেবে শুরুর স্টপেজ থেকে ধরে শেষ স্টপেজ পর্যন্ত। এজন্য কোনো কথা বলার মতো দিন শেষ হয়েছে অনেক আগেই। যাত্রীরা বাসের লোকেদের করুণার পাত্র হয়ে এখন যাতায়াত করে।" তিনি আরও বলেন, "মাঝেমধ্যে এমন ভয়ংকর অবস্থায় পড়তে হয় যে, আট-দশ কিলোমিটার পথ হেঁটে ঘরে ফিরতে হয়। কারণ বাসে ওঠা যায় না। যেসব বাস আসে তাতে যাত্রী এমনভাবে দরজায় ঝুলতে থাকে যে, সেখানে একটি মাছিও দাঁড়াতে পারে না। তখন রাস্তায় গিজগিজ করে ঘরে বা অফিসের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়া মানুষ। তখন রিকসাওয়ালারাও অদ্ভুত আচরণ করে। যাবে কি না জানতে চাইলে এমনকি কথা পর্যন্ত বলে না! তখন সারাদিন পর ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘরে ফেরার জন্য পায়ে হাঁটা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। আর কোনোদিন যদি রিকসা পাওয়া যায়ও, ভাড়া গুণতে হয় ৩০ টাকার জায়গায় ১শ টাকা।" অবশেষে তিনি বলেন, "ভাবছি একটা সাইকেল কিনবো। তাতে আমার মতো মধ্যবিত্তের চলাচলের খরচও কমবে।"তরুণ এক সাইকেল চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি একটি চাকরি করেন। অফিসে যাতায়াত করেন সাইকেলে। বর্তমানে বৃষ্টি-বাদলার মধ্যেও তিনি গায়ে বর্ষাতি চাপিয়ে, মাথায় হেলমেট চাপিয়ে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। এতে অন্তত তার বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। অন্যের করুণার পাত্র হতে হয় না। তাছাড়া খরচ যা করার একবারে করেছেন। এখন প্রতি মাসে তার ২ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ কম হয়।

Advertisement