২০১৫ সালের ১২ থেকৈ ১৫ আগস্ট। গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনেদের কাছে সর্বশেষ হেরেছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকা ১৮৩ রান এবং ভারত ৩৭৫ রান করার পরও ৬৩ রানে হেরে গিয়েছিল ভারত। কারণ, দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলংকার ৩৬৭ রানের পর জয়ের জন্য ১৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১২ রানেই অলআউট হয়ে গিয়েছিল বিরাট কোহলিরা।বিরাট কোহলির নেতৃত্বেই সর্বশেষ হেরেছিল ভারত। এরপর একই সিরিজে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তারা। সাঙ্গাকারা-ম্যাথিউজদের পরের দুই টেস্টে হারিয়ে সিরিজই জিতে নিয়েছিল কোহলি অ্যান্ড কোং। গল টেস্টে হারের পর সেই যে অভিযাত্রা শুরু হয়েছিল, ভারত আর কোনো টেস্টে হারেনি, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ এই টেস্ট ম্যাচের আগে।দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩-০, ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০, নিজেদের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে ৩-০, ইংল্যান্ডকে ৫ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ এবং বাংলাদেশকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে টানা ১৯ ম্যাচ অপরাজিত ছিল বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছিল টানা ২০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার মিশন। শুধু তাই নয়, এই ম্যাচটি জিততে পারলেই টেস্ট র্যাংকিংয়ে এই বছরের জন্য শীর্ষস্থানটা নির্ধারিত হয়ে যেতো তাদের জন্য এবং টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ মুকুটের সঙ্গে ১০ লাখ ডলার পুরস্কারের অর্থও পেয়ে যেতো ভারতীয়রা।আবার ঘরের মাঠে টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ডটা আরও বেশি ভারতের। ঘরের মাঠে টানা ২০ ম্যাচ অপরাজিত ভারত। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে সর্বশেষ ইংল্যান্ডের কাছে ইডেন গার্ডেনে হেরেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনি অ্যান্ড কোং। এরপর টানা অপরাজিত থাকা ২০ ম্যাচের মধ্যে ১৭টিতে জয় পেয়েছিল ভারত এবং ৩টি করেছিল ড্র।কিন্তু ভারতীয়দের ১০ লাখ ডলার জয়ের স্বপ্ন অনেকটাই অসম্ভব করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড তো তাদের ভেঙ্গেই দিল। একই সঙ্গে সব মিলিয়ে টানা ১৯ টেস্ট অপরাজিত থাকার রেকর্ডও ভেঙে দিল তারা। আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement