স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিজিবির (পুরোনো বিডিআর) বাইরের কারো যোগসাজশ বা চক্রান্তের কোনো প্রমাণ এখনো মেলেনি। বিডিআরের আভ্যন্তরীণ কারণেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রতীয়মান। শনিবার রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহতদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন মন্ত্রী। ওই ঘটনার তদন্ত এখনো চলমান উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, তদন্তে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। তিনি বলেন, এত বড় মামলার তদন্ত শেষ করা কঠিন। এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের যারা পলাতক রয়েছেন তাদের ধরতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। বিজিবিপ্রধান মেজর জেনারেল আবুল হোসেন বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর সরকারি যে পদক্ষেপ ছিল তার অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। বিজিবির গোয়েন্দা শাখাকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। পলাতক আসামিদে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে পলাতক এক আসামিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ও ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে তৎকালীন বিডিআর(বর্তমানে বিজিবি)সদর দফতরে (পিলখানা) সংঘটিত ট্রাজেডিতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এরপর ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়। পরে মামলা দুটি নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তর হয়। এরমধ্যে হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিলের পর রাজধানীর লালবাগের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিচার করা হয়। বিচার শেষে গত বছরের ৫ নভেম্বর হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান। মামলার আসামি ছিল ৮শত ৪৬ জন।জেইউ/এনএফ/এমএস
Advertisement