সপ্তাহ গড়ালেই পর্দা নামবে প্রাণের মেলার। মাসব্যাপী মেলার আজই শেষ শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি)। বইপ্রেমী মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ারে গোটা মেলা প্রাঙ্গণ রূপ নিয়েছে জনসমুদ্রে। মেলা অাঙ্গিনার চতুর্দিকে মানুষের ঢল। শুধু মানুষ অার মানুষ। বইমেলায় অাসা লাখো মানুষের ভিড় ঠেকেছে একদিকে শাহবাগ অন্যদিকে দোয়েল চত্বরে গিয়ে।ছুটির দিন শুক্রবার হওয়ায় বইমেলায় শিশুপ্রহর শুরু হয় সকাল ১১টায়। শিশু-অভিভাবকরা সকালে এলেও অনেকেই রয়ে গেছেন বিকেলেও। শিশুপ্রহরের কারণেই দুপুরের পর থেকে মেলার চিত্র পাল্টে যায়। দীর্ঘ সারি। পায়ের তালে পা। মেলার গেট পেরুতেই ঘণ্টা পার। তবুও কোনো বিরক্তি নেই, নেই কোনো ক্লান্তির ছাপ। সবার মধ্যেই উৎসবের অামেজ। যেন স্বপ্নের কিছু পাওয়ার অপেক্ষা। দিন ফুরালেই যেন সুযোগ হাত ছাড়া!মেলায় সন্ধ্যার পর তিল ধরার ঠাঁই মেলেনি। উপচে পড়া ভিড়ে হাঁটারও জো নেই। প্রচণ্ড ভিড়ে অনেকেই নাজেহাল। রাজধানীর কাজীপাড়া থেকে মেলায় এসেছেন হাসান উল বান্না। বলেন, ‘আজই তো সময়। ছুটি তো অার পাব না। অাগেও দু’দিন এসেছি। ঘুরে ঘুরে বই দেখেছি। অাজ বই কিনলাম। অপেক্ষা পরের বছরের জন্য।’স্বর্ণা নামের আরেকজন পাঠক এসেছেন বান্ধবীদের নিয়ে। বিকেল থেকেই অাড্ডার ছলে ঘুরছেন মেলায়। বলেন, ‘শেষ শুক্রবারের মেলা। অার তো ছুটি পাব না। কাল (শনিবার) থেকেই কলেজ। তাই সবাইকে নিয়ে চলে এসেছি। মেলার শেষ বেলার ছুটির দিন। এমন সুযোগ কি হাত ছাড়া করা যায়?’মেলা প্রসঙ্গে কথা হয় তরুণ লেখক স্বকৃত নোমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ছুটির দিনগুলোতেই মেলার সমস্ত অায়োজন। আজ শেষ শুক্রবার বিধায় মেলার অন্যরকম রূপ নিয়েছে। বই বিক্রিও হচ্ছে বেশ। মেলার শেষ ভালো দিয়েই শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে।’ কথা হয়, অ্যাডর্ন পাবলিকেশনের প্রকাশক সৈয়দ জাকির হোসেনের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘এবারের মেলা শুরু থেকেই ভালো যাচ্ছে। শেষ শুক্রবার এমন ভিড় হবে তা ধারণা করেছিলাম। শেষের দিক বলে বইও বিক্রি হচ্ছে বেশ।’এএসএস/আরএস/এমএস
Advertisement