খেলাধুলা

সন্ত্রাসে জর্জরিত লাহোরে যাবেন না গেইল

আজও আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে লাহোরে। পাকিস্তান পুরোটাই অশান্ত হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসের কারণে। প্রতিনিয়তই হচ্ছে বোমা হামলা কিংবা আত্মঘাতী বোমা হামলা। আজও লাহোরে ভয়াবহ হামলায় অন্তত ৮ থেকে ১০ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আহত অনেকেই। এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি লাহোরে আরও একটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় শতাধিক ব্যক্তি নিহত হন।এমনই একের পর এক বোমা হামলায় জর্জরিত সন্ত্রাসের জনপদ লাহোরে পিএসএলের ফাইনাল খেলতে আসবে কোন ক্রিকেটার! বিদেশিদের কথা বাদই দেয়া হোক, পাকিস্তানি ক্রিকেটারাই আসতে চাইবেন না। সুতরাং, পিএসএলের ফাইনাল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন ‘দ্য ক্যারিবিয়ান স্ট্রম’ ক্রিস গেইল। ক্যারিবিয়ান তারকার আচমকা এই সিদ্ধান্তে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড মহা সমস্যায় পড়েছে। শুধু ক্রিস গেইল-ই নয়, একের পর এক বোমা হামলা এবং সন্ত্রাসের কারণে পিএসএলের ফাইনাল থেকে থেকে নিজেদের নাম সরিয়ে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কান দুই কিংবদন্তি মাহেলা জয়বর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারা। গেইল, জয়বর্ধনে ও সাঙ্গাকারা তিনজনই পিএসএল ফ্যাঞ্চাইজি করাচি কিংসের হয়ে খেলছিলেন।বিদেশি তারকা খেলোয়াড়দের নিয়ে পিএসএল জমে উঠেছিল ভালোই। কিন্তু হঠাৎই ঘটল ছন্দপতন। ১৩ ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত ঘটনার পর বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এক ভীতির সঞ্চার ঘটে গেছে। অনেকেই পাকিস্তানে গিয়ে আর খেলতে চান না। এমন অবস্থায় গেইলের এই ঘোষণা পিএসএল’র তীরে এসে তরি ডোবাল। ২০০৯ সালে লাহোরে শ্রীলংকার ক্রিকেটারদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নির্বাসিত রয়েছে পাকিস্তানে। এরপর অনেকবার চেষ্টা করেও নিজেদের দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে পারছে না পাকিস্তান। যখনই তারা কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে, তখনই কোনো না কোনো ঘটনায় আবার ভেস্তে যায় তাদের উদ্যোগ। শেষ পর্যন্ত পিএসএলের ফাইনাল দিয়ে পিসিবি চেয়েছিল, নিজেদের দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে; কিন্তু এবারও তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে বসেছে, একের পর এক বোমা হামলার কারণে।ঘরোয়া লিগের মূল আকর্ষণই হল বিদেশি খেলোয়ারদের চমক দেখা। আর শেষ পাতে এসে এভাবে সেই রাজভোগ না পাওয়ায় যে ক্ষোভ চরমে উঠবে তা বলাই যায়। আর তাই যেন-তেন প্রকারেণ পিএসএল কর্তারা চাইছিলেন, ৫ মার্চের ফাইনাল লাহোরে না অনুষ্ঠিত করে যদি দেশের বাইরে কোথাও অনুষ্ঠিত করা যায়।গত সোমবার দুবাইতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পিএসএল চেয়ারম্যান নাজম শেঠি ও পাঁচ ফ্রাঞ্চাইজি মালিক দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, লাহোরেই হবে ফাইনাল। যদি বিদেশি খেলোয়াড়রা না আসতে চায়, তাদেরকে বাদ দিয়েই হবে। তবে সব ফ্রাঞ্চাইজিই বেশকিছু নামি বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে মাঠে নামে। সে ক্ষেত্রে হঠাৎ এই খেলোয়ার চলে যাওয়ার ফলে সমস্যার কথা মাথায় রেখে পিএসএল লিগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দরকার হলে ফ্রাঞ্চাইজিগুলি নতুন খেলোয়াড় নিতে পারবে; কিন্তু গেইলের এই ঘোষণায় সত্যিই বিপদে পড়ে গেলো পিএসএল কর্তৃপক্ষ। পিএসএল দর্শকদের কাছে অবশ্য এক টুইট বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন গেইল, যে তিনি লাহোরে যেতে পারবেন না পিএসএল ফাইনাল খেলার জন্য। আইএইচএস/পিআর

Advertisement