প্রতিপক্ষের একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন অন্যতম সেরা গোলরক্ষক। জাতীয় দলের না হলেও, এক সময় মোহামেডানের নিয়মিত গোলরক্ষক ছিলেন কাজী ইকরামুল বাশার তুহিন। যে সময় ছিল ফুটবলের তুমুল জনপ্রিয়তা। জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক, বর্তমান জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের বড় ভাই।সেই ইকরামুল বাশার তুহিন ঠেকাতে পারলেন না পাকস্থলির ক্যান্সারকে। বাংলাদেশ মেডিকেলে গত তিনদিন টানা লড়াই করেছেন। শেষ পর্যন্ত পরাস্তই হতে হলো আজীবন লড়াকু তুহিনকে। আজ সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে ক্যান্সারের কাছে পরাস্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মোহামেডান ক্লাবের সাবেক গোলরক্ষক ইকরামুল বাশার তুহিন।ঢাকার ফুটবলে ইস্টঅ্যান্ড ক্লাব দিয়ে অভিষেক তুহিনের। খেলতেন গোলরক্ষক পজিশনে। ১৯৮৭ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত খেলেছেন বাংলাদেশেরর অন্যতম জনপ্রিয় ক্লাব মোহামেডানে। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও মোহামেডানের হয়ে এশিয়ান ক্লাব কাপে খেলেছেন তিনি। যদিও তখনকার অন্যতম সেরা গোলরক্ষক ছাঈদ হাছান কাননের জন্য খুব বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি তার। এরপর আরেক ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আরামবাগেও দীর্ঘদিন খেলেছেন তিনি। গত বছর মে মাসে ইকরামুল বাশার তুহিনকে দেখতে হাবিবুল বাশার সুমনের লালমাটিয়ার বাসায় গিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম এবং তাসকিন আহমেদ। তারা ওই সময় দেশবাসীর কাছে দোয়া চান, ইকরামুল বাশার তুহিনের জন্য। এরপর চিকিৎসা করানো হলে কিছুদিন সুস্থ ছিলেন ইকরামুল বাশার; কিন্তু কিছুদিন আগে থেকে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর ভর্তি করা হয় বাংলাদেশ মেডিকেলে।হাবিবুল বাশারের মেজ ভাই কাজী ইমদাদুল বাশার জানিয়েছেন, ‘দাফন কোথায় করা হবে এখনও ঠিক করা হয়নি। সবাই দোয়া করবেন।’ আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement