২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত অভিষেকের পর সময়টা ভালো যায়নি তাসকিন আহমেদের। একের পর এক ইনজুরিতে প্রায় বছর দেড়েক ছিলেন মাঠের বাইরে। তবে এরপরই যেন মাঠে ফিরে আসেন অন্য তাসকিন। টানা দুই বছর ধরেই দারুণ ফিট থেকে ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন। শুধু সীমিত ওভারের ম্যাচই নয় টেস্টেও দারুণ ফিট থেকে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এমন ফিটনেসের জন্য নিজের চেষ্টার চাইতে আল্লাহর রহমতকেই বড় করে দেখছেন দেশের সর্বোচ্চ গতির এ পেস তারকা।বুধবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে অনুশীলন করতে আসেন তাসকিন। অনুশীলন শেষে নিজের ফিটনেস সম্পর্কে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি খুব ভাগ্যবান। ইনজুরি জিনিসটা এমন, সিঁড়িতে হাঁটার সময়ও পা মচকে যেতে পারে। হ্যাঁ, আমি অনেক কঠোর পরিশ্রম করছি। তবে মূল ব্যাপার হলো- আল্লাহর রহমত। আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে সুস্থ আছি। এটাই মূল ব্যাপার।’টেস্ট ক্রিকেটে এখনও বড় কিছু করতে না পারলেও কোচ-অধিনায়কের আস্থা যোগাতে পেরেছেন তাসকিন। নিউজিল্যান্ড ও ভারত সফরে পেসারদের মধ্যে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ওভার করতে হয়েছে তাকেই। টানা বোলিংও করেছেন। তবে নিজেকে ফিট রাখার জন্য ফিজিও-ট্রেনারদের পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করেন তিনি।‘আল্লাহর রহমতে আমার ফিটনেস অনেক ভালো মনে হয়েছে। প্রতিটি ম্যাচে আমি ৩০ ওভার, ৩৫ ওভার বোলিং করেছি। আগের চেয়ে ভালো না হলে এটা করতে পারতাম না। পেসাররা আসলে কখনোই শতভাগ ফিট থাকতে পারে না। কিছুটা ব্যথা-ট্যাথা থাকেই। এসব নিয়েই খেলতে হয়। আমাদের ভালো ট্রেনার আছে। তারা পরামর্শ দিচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে আশা করি, সামনে আরো বেশি বোলিং করতে পারবো।’উল্লেখ্য, চলতি মাসের শেষেই পুর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেখানে তাসকিনসহ মোট পাঁচজন পেসার রয়েছেন দলে। আর পেসারদের আধিক্যই বুঝিয়ে দিচ্ছে, বড় দায়িত্বই নিতে হবে তাসকিনকে। একই সঙ্গে লম্বা সিরিজের কারণে সেখানে ফিটনেস ধরে রাখাও হবে চ্যালেঞ্জ।আরটি/আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement