দুই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছে সাত বার। ছোট বড় সব মিলিয়ে ১৩ বার ডাক্তারের ছুরি-কাঁচির নিচে যেতে হয়েছে বাংলাদেশ দলের রঙ্গিন জার্সির অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। এমনকি বর্তমানেও ডান হাতের আঙ্গুল চিড়ে যাওয়ায় রয়েছেন মাঠের বাইরে। ইনজুরিকে যেন বানিয়ে ফেলেছেন নিজের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। তাই অন্য কেউ ইনজুরিতে পড়লে তার চেয়ে বেশি সাহস আর কে যোগাতে পারবে?হালের তরুণ পেসাররা তাই ইনজুরিতে পড়লেই সবার আগে সরণ করেন মাশরাফিকে। তারা ভালোভাবেই জানেন, ইনজুরিকে কিভাবে জয় করেছেন অধিনায়ক। তাই স্বাভাবিকভাবেই তাদের আদর্শ হন মাশরাফিই। তবে তাসকিন আহমেদের জন্য মাশরাফি শুধুই আদর্শ নয়, আরও কিছু বেশি। আজও তাই অকপটেই বলে দিলেন, ‘আমি সবসময়ই বলবো মা-বাবার পরে মাশরাফি ভাই আমার সব কিছু। তার পরামর্শেই আমি আরও উজ্জিবিত হই। তিনি গাইড না করলে আমার কিছুই ঠিক হয় না।’২০১৪ সালে অভিষেকের পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেই কাটাচ্ছিলেন তাসকিন। তবে মোস্তাফিজ ও শহীদের ইনজুরিতে নিউজিল্যান্ড সিরিজে টেস্ট দলে সুযোগ হয় তার, এরপর ভারত সিরিজে। আর সেখানেই প্রথমবার মিস করেন মাশরাফিকে। তাসকিনের ভাষায়, ‘টেস্টে মাশরাফি ভাইকে মিস করি। তিনি থাকলে ভালো হতো…। মাঠে অভিভাবক পেয়ে যেতাম।’ভারতে ঐতিহাসিক টেস্ট খেলার সময় আত্মবিশ্বাসের অভাব অনুভব করেন তাসকিন। এমনকি পায়ে কিছুটা ব্যাথাও অনুভব করেন তিনি। হোটেলে ফিরেই ফোনে কথা বলেন মাশরাফির সঙ্গে। আর মাশরাফিও তাকে সাহস জুগিয়ে বলেন, ‘এসব কিছুই না। এগুলো তোর মনের সমস্যা। দেশের কথা ভেবে খেল, সব ঠিক হয়ে যাবে।’মাশরাফির পরামর্শেই বদলে গেছেন তাসকিন। অভিষেকের পর প্রথম বছর ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করলেও গত দুই বছর দারুণ ফিট এ পেসার, ‘এখন আমি ইনজুরি নিয়ে কমই চিন্তা করি। মানসিকভাবে শক্ত থাকাটা জরুরি। এই ক্ষেত্রে মাশরাফি ভাই আমার পথপ্রদর্শক। তিনি এটা নিয়ে বেশি ভাবতে না করছেন। সব কিছুতে মাশরাফি ভাই-ই আমার মেন্টর। এমনকি আমার লাইফ স্টাইল- সব কিছুতেই।’আরটি/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement