জাতীয়

আলমগীর কুমকুমের ঋণ মওকুফের সুপারিশ

বরেণ্য চলচিত্র নির্মাতা প্রয়াত আলমগীর কুমকুমের ঋণ মওকুফের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সম্প্রতি সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ রোববার জানান, বিএফডিসি থেকে আলমগীর কুমকুমের নেওয়া ঋণ মওকুফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ বিষয়ে কাজও শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করেন তিনি।বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, সরকারের দেওয়া সাধারণ সুবিধার আওতায় প্রয়াত চলচিত্র নির্মাতা আলমগীর কুমকুম ‘বস্তির শাহেন শাহ’ নামের একটি ছায়াছবি নির্মাণ করেন। রেহানা কথাচিত্র প্রযোজিত এ ছবিটি ১৯৯৮ সালের ১২ নভেম্বর বিএফডিসিতে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০০ সালের ১৭ মার্চ ছবিটি মুক্তি পায়। তখন ছবিটির বিপরীতে ঋণের পরিমাণ ছিলো এক লাখ ১৩ হাজার ৬৫২ টাকা। গত ১৫ বছর ধরে ওই ঋণের সুদ বাড়ছে। এর মধ্যে ২০১২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি খ্যাতিমান এ নির্মাতা মারা যান। কিন্তু এখনো ঋণের সুদের হিসাব কষে চলেছে বিএফডিসি। ২০১৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত সুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৬ হাজার ৩২০ টাকা। আর সুদে আসলে মোট ঋণে পরিমাণ দাড়িয়েছে তিন লাখ ১৯ হাজার ৯৭২ টাকা। বিএফডিসি থেকে এ বকেয়া পরিশোধের জন্য নিয়মিত তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নিবেদিত প্রাণ এ পরিচালকের মৃত্যুর পরও তার ঋণের বোঝা বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের দৃষ্টিতে আনেন সরকার দলীয় এমপি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। এরপর কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে সুদসহ ওই ঋণ মওকুফের প্রস্তাব করেন কমিটির সদস্যরা। পরে নিয়মানুযায়ী ওই ঋণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে নিষ্পত্তির সুপারিশ করে কমিটি।এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সংসদীয় কমিটিকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, বিএফডিসি থেকে অনাদায়ী বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে পত্র প্রেরণের ধারাবাহিকতায় ‘বস্তির শাহেন শাহ’ ছায়াছবির প্রযোজক প্রতিষ্ঠানকেও পত্র পাঠানানো হয়। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৭ জুলাই পত্র পাঠানো হয়। কিন্তু এরপর বকেয়া পরিশোধ কিংবা মওকুফের বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে কোন আবেদন বা যোগাযোগ করা হয়নি। আবেদন পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এসএ/এএইচ/আরআই

Advertisement