দেশজুড়ে

হলি আর্টিজানে হামলার আসামি জাহাঙ্গীর আবারও রিমান্ডে

ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার আসামি জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধি ওরফে সুবাশ ওরফে টাইগার আদিল ওরফে মাস্টার মাইন্ড ওরফে জাহিদকে দুটি পৃথক মামলায় আবারো ৫দিন করে ১০ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে বগুড়ার পুলিশ। এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি একই মামলায় তাকে ১৫ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞানাবাদ করে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. কামারুজ্জামান শিবগঞ্জ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ৫ দিনের এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক আব্দুল আল মামুন শেরপুর থানায় দায়ের করা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই নিয়ে তাকে দুই দফা রিমান্ডে নেয়া হলো। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ’র (জেএমবি) সদস্য রাজিব গান্ধি ওরফে জাহাঙ্গীর গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম রাঘবপুর ভূতমারীঘাট গ্রামের মাওলানা ওসমান গনি মণ্ডলের ছেলে। তাকে শ্যোনএরেস্ট দেখিয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ ও শেরপুর থানা পুলিশ ২টি মামলায় রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্ত রাজিব গান্ধিকে কেরানীগঞ্জ থেকে গত ১৭ জানুয়ারি গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ২০১৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১টায় বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলার ভাইয়ের পুকুর নামকস্থানে কয়েকজন জেএমবি সদস্য গোপন বৈঠকে বসে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এমন খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় দুজন গ্রেফতার হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই জাহাঙ্গীরের নাম বলে। এরপর তাকে ওই মামলায় আসামি করা হয়। এ ছাড়া ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ এলাকার একটি বাড়িতে বোমা তৈরিকালে বিস্ফোরণে জেএমবির দুই সদস্য নিহত ও বিপুল সংখ্যক গোলা বারুদ ও গ্রেনেড উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে তদন্তকালে ওই ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধির সম্পৃক্ততা পায় থানা পুলিশ। এ দুটি মামলায় জিঙ্গাসাবাদের জন্যও তাকে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শাহিদ মাহমুদ খান জানান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজিব গান্ধিকে আদালত তাদের মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। লিমন বাসার/এমএএস/আরআইপি

Advertisement