সোমবার, বিকেল সাড়ে ৪টা। মেঘাচ্ছন্ন এ দিনের গোধূলি লগ্নে মধ্যবাড্ডা লিংক রোড সংলগ্ন গুলশান লেকের পানিতে ঢেউ তুলে দক্ষিণ দিকে পুলিশ প্লাজার দিকে এগিয়ে চলেছে জাতীয় পতাকাবাহী ওয়াটার বোট। ইঞ্জিনচালিত ওয়াটার বোটের গতি বেশি হওয়ায় লেকের দু’পাড়ে ঢেউ আছড়ে পড়ছিল। সেই ঢেউয়ে পা ডুবিয়ে খুশিতে ডগমগ হয়ে এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করছিল কয়েকটি ছোট্ট শিশু। শিশুরা যেখানে খেলছিল সে স্থান থেকে কয়েক গজ দূরেই পানিতে অযত্ন অবহেলায় কয়েকটি নৌকা পড়ে থাকতে দেখা যায়। কোনটা অর্ধডুবন্ত, কোনটাতে কচুরিপানা জমে আছে। আবার কোনটা পানিতে না ডুবলেও লগি ও মাচা উল্টে আছে। আবদুস সামাদ নামে এক বয়োজ্যেষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দা এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে জানান, বছরখানেক আগেও মধ্যবাড্ডা লিংক রোডের গুদারাঘাট থেকে গুলশানে যাতায়াতের সহজ মাধ্যম ছিল নৌকায় পারাপার। এ অঞ্চলের বাসিন্দারা হেঁটে যাওয়ার চেয়ে দুই টাকা খরচে নৌকায় পার হয়ে দ্রুত ওপার চলে যেতো। এখন আর নৌকা না চলায় মাঝিরা পেশা বদল করতে বাধ্য হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে আধুনিকায়নের ছোঁয়ায় মধ্যবাড্ডা লিংক রোড ও লেকে ওয়াটার বোট চালু হওয়ায় এ এলাকার চিত্র বদলে গেছে। গুদারাঘাটে সেই দুই টাকায় নৌ পারাপার এখন অনেকের কাছেই গল্প। সম্প্রতি এ এলাকায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে চালু হওয়া ওয়াটারবোট এলাকাবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ এলাকার মানুষ গুদারাঘাট থেকে মাত্র ৩০ টাকায় এফডিসি পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ পেয়ে খুব খুশি। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে একাধিক এলাকাবাসী মন্তব্য করেন, লিংক রোডে পাকা মসৃন রাস্তা ও ওয়াকওয়ে হওয়ায় এখন তারা অনায়াসেই হেটে গুলশানে যেতে পারছেন। তাই নৌকায় পারাপারের কথা এখন ভুলতে বসেছে তারা।এমইউ/এমএমজেড/পিআর
Advertisement