গাইবান্ধা থেকে ভাগ্যের অন্বেষণে বগুড়া এসেছিলেন স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আব্দুল ওয়াহেদ সরকার ও তার বড়ভাই নজরুল ইসলাম। শহরের মালতিনগর বউ বাজার এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থেকে দুই ভাই রিকশা-ভ্যান চালাতেন। আর তাদের স্ত্রীরা অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সংসার চালাতেন। কিন্তু তাদের যে প্রিয়জনের লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে, তা জানতো না কেউ।শনিবার সন্ধ্যায় ঝড়ের সঙ্গে ভেঙে গেছে তাদের সকল স্বপ্ন। দেয়াল চাপা পড়ে ওয়াহেদের স্ত্রী এবং নজরুলের তিন মাস বয়সী মেয়ে মারা যায়। ফলে গতকাল স্ত্রী-সন্তানের লাশ নিয়ে ফিরে যেতে হয় এই দুই ভাইকে।বগুড়ার সহকারি পুলিশ সুপার(এএসপি) গাজীউর রহমান জানান, আব্দুল ওয়াহেদ সরকারের স্ত্রী আজিরুন বিবি(৪০) এবং নজরুল ইসলামের ৩ মাসের শিশু নীলা ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে মারা যান। গতকাল সকালে তাদের লাশ গাইবান্ধার মালিবাড়ি দক্ষিণপাড়ার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছেন স্বজনরা।ওই দুজনের মতোই বগুড়ায় দেয়াল চাপা, গাছ চাপা, বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে এবং নৌকা ডুবিতে মারা গেছেন মোট ১৬জন। ওই দুজন ছাড়া অপর ১৪ জন হলেন বগুড়া শহরতলীর মধ্যপালশা গ্রামের আইজল হোসেনের ছেলে পলাশ(১৮) এবং শহরদীঘি গ্রামের খাজা মিয়ার ছেলে রজব মিয়া(১৫), সোনাতলা উপজেলার লোহাগাড়া গ্রামের মৃত মকো প্রামানিকের স্ত্রী ফিরোজা বেওয়া(৫৫), গাবতলী উপজেলার তেলিহাটা গ্রামের আসর উদ্দিনের স্ত্রী সামিয়া বেগম(৩২), শাজাহানপুর উপজেলার বামুনিয়া খোয়ারপাড়ার বাবলু মিয়ার ছেলে পায়েল ওরফে বুদা(১৬), ক্ষুদ্রফুলকোট গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল মান্নান ফান্না(৩০) ও ঘাসিরা গ্রামের মৃত তালেব আলীর স্ত্রী রাবেয়া বেওয়া(৬৫), ধুনটের জোড়শিমুল গ্রামের মৃত ফয়েজ প্রামানিকের ছেলে আফজাল হোসেন(৫০), কাহালু উপজেলার হরলতা গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেন(৩৮) ও আব্দুস সাত্তারের ছেলে আজিজুল ইসলাম(১৯), সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ি পূর্বপাড়ার নূরু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া(৩০), মালোপাড়ার সাধন চন্দ্রের ছেলে সুবল চন্দ্র(২৫), বিলপাড়ার ইবাদ আলীর স্ত্রী শান্তা বেগম(২৫) এবং নৌকাডুবিতে নিহত ধারাবর্ষা চরের মতিন প্রামানিকের ছেলে মোজাম প্রামানিক(৪৫)।এমজেড/আরআই
Advertisement