রাজধানীসহ সারাদেশে ভেজাল, মানহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি বন্ধে ৩৭ মডেল ফার্মেসি ও মেডিসিন শপ অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকা, খুলনা, সিলেট ও নোয়াখালীতে ৩০ মডেল ফার্মেসি ও ৭ মডেল শপ চালু হয়েছে। এসব মডেল ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) ওষুধ ব্যতীত অন্য কোন ওষুধ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, গুণগত মান রক্ষায় সঠিক তাপমাত্রায় ওষুধ সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে ও ওষুধের ব্যবহারবিধি সম্পর্কে জনগণের কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেন, দেশব্যাপী মডেল ফার্মেসি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। সর্বোপরি মডেল ফার্মেসি থেকে জনগণ নিরাপদ মানসম্পন্ন ওষুধ পাচ্ছে এবং মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে।সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাজধানীর মিরপুরে পাঁচ মডেল ফার্মেসির উদ্বোধন করেন। ফার্মেসিগুলো হলো- মৌরি ফার্মা, তামান্না ফার্মেসি, মৃধা ড্রাগ হাউস, লাজ ফার্মা ও কিউ পিসএস ফার্মা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি এস এম শফিউজ্জামান, বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ও ফার্মেসি কাউন্সিলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ইতোমধ্যে রাজধানীর কলাবাগান ও গুলশানে মোট ৭টি প্রতিষ্ঠানে মডেল ফার্মেসি চালু করা হয়েছে। প্রথম দফায় কলাবাগানের লাজ ফার্মা ও পান্থপথের বায়োমেইডসহ দুটি এবং দ্বিতীয় দফায় গুলশানে উদ্বোধন হওয়া আরও পাঁচ ফার্মেসি হচ্ছে- সাফাবি ফার্মেসি, আল মদিনা ফার্মেসি, ইসলাম ফার্মা, তামান্না ফার্মেসি ও প্রেসক্রিপশন এইড। জানা গেছে, লেবেল-এ ও বি- এই দুই ক্যাটাগরির মডেল ফার্মেসির লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে। এ ক্যাটাগরির মডেল ফার্মেসির আয়তন ১৫ ফুট বাই ১০ ফুট এবং বি ক্যাটাগরির ফার্মেসির আয়তন হবে ১০ ফুট বাই ৯ ফুট।মডেল ফার্মেসিগুলোতে ক্যাটাগরি (এ ও বি) অনুযায়ী ওষুধ রাখা, কোল্ড চেইন অনুসরণ করে ওষুধ সংরক্ষণ ও প্রতিটি বিক্রিত ওষুধের হিসাব রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ফার্মেসির সংখ্যা এক লাখ ২৫ হাজার।জেএইচ/পিআর
Advertisement