ব্লগার রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডের ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি রেদোয়ানুল আজাদ রানাকে সোমবার রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রানা দুই বছরের বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ায় পলাতক ছিলেন। কীভাবে একজন চার্জশিটভুক্ত আসামি দেশের বাইরে গেলেন। তদন্তের একপর্যায়ে পুলিশ জানতে পারে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে নিজেকে হিন্দু পরিচয় দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে পালিয়েছিল রানা। মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতারের পর এ বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, রানার বাড়ি ফেনীতে। কিন্তু সে গাজীপুরের ভুয়া ঠিকানা এবং নাম বদলে পাসপোর্ট করে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়ায় যায়। কীভাবে সে এ পাসপোর্ট তৈরি করলো, এ বিষয়ে পুলিশ কিংবা পাসপোর্ট অফিসের কারও যোগসাজশ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেভাবে গ্রেফতার রানারানাকে গ্রেফতারের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই মালয়েশিয়ান গোয়েন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল পুলিশ। সম্প্রতি মালয়েশিয়ান পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সোমবার পুলিশি হেফাজতে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর থেকে তাকে ঢাকায় ডিপোর্ট (নির্বাসিত) করা হয়। এ সংবাদ পেয়ে আগে থেকেই বিমানবন্দরে ওঁৎ পেতে থাকেন সিটি ইউনিটের সদস্যরা। তবে তারা রানাকে গ্রেফতার না করে তাকে অনুসরণ করে। উত্তরা এলাকায় যেতেই তাকে এক সহযোগীর সঙ্গে ধরে ফেলে পুলিশ। মনিরুল ইসলাম বলেন, রাজীব হায়দার হত্যাকাণ্ডে এর আগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সবাই রানার কথা বলেছে। এছাড়া ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন হত্যা চেষ্টা ও মিরপুরের একটি স্কুলের শিক্ষককে হত্যা পরিকল্পনার ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। রানা ২০১৪ সালে মালয়েশিয়া গিয়ে সে আইএসের মতাদর্শ গ্রহণ করে। রানার ফাঁসির আসামি হলেও তার বিরুদ্ধে আজই নতুন করে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করা হবে। মঙ্গলবার বিশেষ আদালতে তুলে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানাবে পুলিশ। এআর/জেএইচ/পিআর
Advertisement