চাকরিতে যোগ্যপ্রার্থী পাওয়া না গেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শূন্যপদগুলো মেধাতালিকায় অবস্থানকারী সাধারণ প্রার্থীদের দিয়ে পূরণ করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটি। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেয়ায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ না দিয়ে এই কোটায় প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণদের দিয়ে পূরণ করা হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি- সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয় (পিএসসি) এখনও এদেশে দীর্ঘদিনের জামায়াতি শাসনের ভূতের আছর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তাই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নাম শুনলেই তাদের গায়ে জ্বালা ধরে যায়। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সরকারি কোটা থাকলেও এ কোটায় যোগ্যতার দোহাই দিয়ে ইচ্ছাপূর্বক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মৌখিক পরীক্ষা থেকে বাদ দেয়া হয়। বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পাওয়া যায় না। অথচ এখনও কয়েক লাখ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বেকারত্ব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটায় শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য অবিলম্বে একটি স্পেশাল বিবিএস পরীক্ষা আয়োজনের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রিলিমিনারি, লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তার আর কি যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে? মৌখিক পরীক্ষা ঘুষ লেনদেনের জন্য একটি উত্তম পন্থা হতে পারে। কিন্তু এটি কখনোই যোগ্যতা যাচাইয়ের একমাত্র মানদণ্ড হতে পারে না।জামায়াতের দোসর পিএসসি’র কিছু কর্মকর্তা বা কোনো মহলের ইন্ধনে বা গুটিকয়েক পশ্চাদপদশীল লোকের অযৌক্তিক দাবির মুখে চাকরিতে বিদ্যমান মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হাত দেয়া ঠিক হবে না। কোটা সংস্কারে তাদের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে আমরা মনে করি। এইচএস/জেএইচ/পিআর
Advertisement