দক্ষিণ সুদানের দুটি জেলায় দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার ও জাতিসংঘের তিনটি সংস্থা। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে এ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। এর ফলে পূর্ব-আফ্রিকার যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। দেশটিতে তিন বছরের গৃহযুদ্ধের কারণে সৃষ্ট মানুষের দুর্দশার চিত্র উঠে এসেছে দুর্ভিক্ষের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায়। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ সুদানের কিছু কিছু এলাকায় প্রেসিডেন্ট সালভা কিইর খাদ্য সহায়তা বন্ধ করে দেয়ায় দুর্ভিক্ষের কষাঘাতে পড়েছেন দেশটির নাগরিকরা। জাতিসংঘের তিন সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদানের দুই জেলার এক লাখেরও বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হয়েছেন। দেশটির আরো ১০ লাখ নাগরিক অনাহারের দ্বারপ্রান্তে থাকায় এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। জুবা থেকে আল-জাজিরার প্রতিনিধি হিবা মর্গান বলেন, এই মুহূর্তে যে এক লাখ বেসামরিক নাগরিক দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন, উদ্বেগ শুধু তাদেরকে নিয়ে নয়। সেখানে আরো ১০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে দক্ষিণ সুদানের প্রতি তিন পরিবারের একটি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখে রয়েছে। দক্ষিণ সদুানে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রধান সের্গে টিসো বলেন, আমাদের ভয়াবহ আশঙ্কা বাস্তব রূপ লাভ করেছে। বার্তাসংস্থা এপি বলছে, দক্ষিণ সুদানের ৫০ শতাংশ মানুষ (৫৫ লাখ) মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে যাচ্ছেন। এছাড়া আগামী মাসগুলোতে তাদের জীবন মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে। দক্ষিণ সুদানে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থারপ্রধান জেরেমি হপকিনস বলেন, ‘শিশুদের কাছে জরুরি সহায়তা না পৌঁছালে তাদের অনেকেই মারা যাবে। আড়াই লাখ শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। এর অর্থ হচ্ছে, তারা মৃত্যু ঝুঁকিতে রয়েছে।’ সূত্র : এপি, আল-জাজিরা।এসআইএস/জেআইএম
Advertisement