নোট বাতিলের একশ দিন পর কী অবস্থা ভারতে

গেল বছরের নভেম্বরে ৫০০ ও এক হাজার রুপির নোট বাতিল করে ভারত সরকার। এরপর পেরিয়ে গেছে ১শ দিন। নোট বাতিলের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, কালো টাকা রোধ করতে এই সিদ্ধান্ত তার সরকারের। তবে একাবেরই হঠাৎ করে নোট বাতিলের ঘোষণা আসায় বেশ বিপাকে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। বাতিল নোটের বদলে ছোট নোটের চাহিদায় ব্যাংকে ভিড় করতে শুরু করে মানুষ। মানুষজনের হাতে কোনো টাকা নেই এমনটাও তখন ঘটেছিল।তবে একশ দিনে পরিস্থিতি কতটা বদলেছে তা উঠে এসেছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রথম দিকে যে অসুবিধা হচ্ছিল সে অসুবিধা অনেকটাই কেটে গেছে। আগের তুলনায় পরিস্থিতি এখন অনেকটাই স্থিতিশীল।ব্যাংকগুলো নিজেদের পছন্দমতো নোট না পেলেও গোলমাল নেই। তবে কলকাতার চিত্র এমন হলেও মফস্বল শহরের চিত্রটা অন্য ধরনের। অনেক যেসব এলাকায় একটিই মাত্র এটিএম বুথ আছে, সেখানে মানুষকে এখনও হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে।শহুরে লোক বা ধনী মধ্যবিত্ত বাদ দিয়ে যারা অনলাইন ব্যাংকিং করেন না, বিশেষ করে কৃষক বা যারা একদম খুচরার উপর নির্ভরশীল, শহরের নিম্ন আয়ের মানুষেরা এখনও ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন।তবে ভারত সরকার যে পরিকল্পনা করে বড় নোট বাতিল করেছিল সেই কালো টাকা রোধ কতটা সফল হলো তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।কালো টাকা কতটা রোধ করা গেছে সেটা নিয়ে সুস্পষ্ট কোনো ধারণা সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি।তবে পাঁচশো ও হাজার টাকার নোট যে পরিমাণে বাজারে ছিল তার প্রায় পুরোটাই ব্যাংকে জমা পড়ে গেছে এবং এই প্রেক্ষাপটে বিরোধীরা বলছে, যদি সব নোট জমা পড়েই যায় তাহলে কালো টাকা রোধে সরকারের এমন বিশাল পরিকল্পনা পুরোপুরি ব্যর্থ।এনএফ/আরআইপি