দেশজুড়ে

ভাষা শহীদের স্বজনদের খবর রাখে না কেউ

ভাষা সৈনিকদের মুক্তিযোদ্ধাদের মতো রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনের দাবি জানিয়েছেন ভাষা শহীদ পরিবারের সদস্যরা। সেই সঙ্গে তাদের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবি জানান তারা। প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করা হয়। কিন্তু বাংলা একাডেমি তাদের কোনো খোঁজখবরই নেয় না।প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে বইমেলাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও ভাষা শহীদদের স্বজনদের সেখানে কোনো আমন্ত্রণ জানানো হয় না বলেও অভিযোগ করা হয়। তারা অভিযোগ করেন, ভাষা শহীদদের স্মরণে বাংলা একাডেমি সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের স্বজনদের আমন্ত্রণই জানানো হয় না। সম্প্রতি ঢাকার উত্তরার ৬নং সেক্টরের ২নং সড়কের একটি বাসায় ভাষা শহীদ বরকত, শহীদ রফিক ও শহীদ জব্বারের স্বজনরা এক বৈঠকে মিলিত হন। শহীদ বরকতের ভাতিজা আইনউদ্দিন বরকত জানান, ভাষা শহীদদের স্মরণে বাংলা একাডেমি সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে প্রতিবছর ফেব্রুয়ারিতে বইমেলাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের স্বজনদের সেখানে কোন আমন্ত্রণ দেয়া হয় না। এজন্য শিগগিরই ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলন করা হবে। স্থানীয়ভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও তাদের আর তেমন খোঁজ-খবর নেয়া হয় না। তবে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে কিছু সাংবাদিক খোঁজ নিতে বাসায় যান। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বছরে এক বার (জুলাই-জুন মাসের) তার চাচার ভাতার চেক পান। তিনি বলেন, মুক্তিযেদ্ধাদের ন্যূনতম ভাতা আড়াই হাজার থেকে পর্যায়ক্রমে ১০ হাজার টাকা করা হলেও আমাদের ভাতা ১০ হাজার টাকা থেকে আর বাড়েনি। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের মতো ভাষা সৈনিকদেরও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন চান। তিনি আরও বলেন, সারা বছর আমাদের কেউ খোঁজ নেন না। তবে সরকারের উচিত প্রতি ফেব্রুয়ারিতে হলেও ভাষা শহীদদের পরিবারের সদস্যরা কেমন আছেন তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে খোঁজ-খবর নেয়া। শহীদ সফিউর রহমানের মেয়ে শাহনাজ আপা ফোন করে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তার বাবা শহীদ সফিউর রহমানের মৃতুর পর তার মা আকলিমা খাতুন ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি মারা গেছেন। এক বছর পার হলেও তার ভাতা ও পেনশনের টাকা তুলতে পারছেন না তারা। এজন্য ক্ষোভ করে ওই সব ব্যাপারে আর কথা বলতে চাননি তিনি।  তিনি জানান, দেশে যে পাঁচজন ভাষা শহীদ পরিবার রয়েছেন তাদের অন্যান্য জেলায় প্রতি বছর বর্ণমালা ছাপানো পাঞ্জাবি ও শাড়ি উপহার প্রদান করা হয়। কিন্তু গাজীপুরে আজও পর্যন্ত এ প্রথা চালু হয়নি।এআরএ/আরআইপি

Advertisement