খেলাধুলা

সংস্কার কাজ শুরু শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে

বিপিএল শেষ হবার পর থেকেই তেমন কোন খেলা নেই মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। মাঝে যদিও কয়েকটি প্রথম বিভাগের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী জুলাই-আগস্টে পাকিস্তান সফরে আসার আগ পর্যন্ত কোন খেলাই নেই মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। এরই ফাঁকে স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ করা হবে বলে জানিয়েছিল বিসিবি। সে ধারাবাহিকতায় রোববার সংস্কারের কাজ শুরু করা হচ্ছে। পাকিস্তান বিপক্ষে সিরিজের আগেই এর কাজ শেষ হবে বলে আজ জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধরী সুজন।মিরপুর শেরে বাংলার মাঠের আউটফিল্ডের সংস্কার নিয়ে সাংবাদিকদের সুজন বলেন, ‘মাঠ সংস্কারের কাজ আজকেই প্রথম শুরু হয়েছে। আশা করছি, আমাদের যে শিডিউল আছে আগস্টে, তার আগেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। সামনে আমাদের যে সকল সিরিজ আছে সেগুলো মাথায় রেখেই কাজ করছি। কাজের অগ্রগতি আমরা পরবর্তীতে জানাতে পারবো।’ড্রেনেজ সিস্টেম সংস্কারের পাশাপাশি মাঠের নিচে থাকা পাইপ পরিবর্তন, বালু ফেলা এবং সরানোর কাজ হবে। তবে মাঠের উচ্চতা একই থাকবে। মাঠের উপরের ছয় ইঞ্চি মাটি সরিয়ে নেওয়া হবে। পরে সেখানে নতুন মাটি দেয়া হবে এবং লাগানো হবে নতুন ঘাস। এ কাজের জন্য একজন অস্ট্রেলিয়ান বিশেষজ্ঞকে নিয়োগও দিয়েছে বিসিবি। তার পরামর্শ অনুযায়ী এ কাজ হচ্ছে বলে জানান সুজন।‘আমরা একজন অস্ট্রেলিয়ান বিশেষজ্ঞ নিয়েছি। তার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করছি। উনি আমাদের যা বলেছেন সেভাবে কাজ হচ্ছে। এই মাঠের ড্রেনেজ সিস্টেম খুব ভালো আছে। তবে এবার উপর থেকে ছয় ইঞ্চি মাটি সরিয়ে ফেলতে হবে। পানি নিষ্কাষনের যে ব্যবস্থা, তাতে প্রথম ছয় ইঞ্চিতে পানি একটু ধীরে যায় ডাস্টি হয়ে যাওয়ার কারণে। উনি আমাদের বলেছেন উপরের ছয় ইঞ্চি ফেলে দিয়ে নতুন করে মাটি ফেলে ঘাস লাগালে এটা আরও উন্নত হবে।’মিরপুরে সংস্কার কাজ চালু হওয়ায় আসন্ন ইমার্জিং কাপের কোন খেলাই এখানে অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানান সুজন। এ টুর্নামেন্টটির ম্যাচগুলোর জন্যে ঢাকার বিকেএসপি, ফতুল্লা ও কক্সবাজারকে পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ক্রিকেটের জন্য মিরপুর স্টেডিয়ামে পাওয়ার পর মাঠটা নতুন করে তৈরি করেছিল বিসিবি। আর এর ড্রেনেজ সিস্টেম উপমহাদেশের সেরা বলেই স্বীকৃত। এরপর তেমনভাবে আর সংস্কার করা হয়নি এ মাঠ। যদিও ২০১৩ সালে মরা ঘাস তুলে কিছু নতুন ঘাস লাগানো হয়।আরটি/আইএইচএস/আরআইপি

Advertisement