অর্থনীতি

মন্দা বাজারেও স্বর্ণের দোকানে ভিড় নেই তরুণীদের

গত দুই বছরে স্বর্ণের দাম সর্বনিম্ন থাকা সত্বেও প্রায় ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে দেশের জুয়েলারি বাজার। স্বর্ণ ব্যবসায়ের ভরা মৌসুম চললেও জুয়েলারি পাড়ায় দেখা মিলছে না তরুণীদের ভিড়। ফলে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন এ ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠরা।ব্যবসায়ীরা জানান, বছরের শুরু থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল-অবরোধের কারণে বিয়েসহ সামাজিক উৎসব কমে গেছে। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দাভাব বিরাজ করায় স্বর্ণের গহনা তৈরিতে মানুষের আগ্রহও কমেছে। তাই স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে বেচা-বিক্রি।জুয়েলার্স মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক বাজারে দর কমায় গত দুই বছরের মধ্যে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সর্বনিম্ন রয়েছে।সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি ৪৪ হাজার ৫শ ২১ টাকা, ২১ ক্যারেট প্রতি ভরি ৪২ হাজার ৪শ ২১ টাকা, ১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি ৩৫ হাজার ৭শ ৭৩ টাকা, সনাতন স্বর্ণ প্রতি ভরি ২৪ হাজার ৮৬ টাকা। আর প্রতি গ্রাম রূপার মূল্য ৮৯ টাকা ৯৩ পয়সা।নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এই চার মাস বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মৌসুম হিসেবে ধরে থাকেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। এ সময়ে বেচা-বিক্রি সবচেয়ে বেশি থাকে। কিন্তু এ বছরের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। মার্চ মাস চলে গেলেও বাজারে ক্রেতার দেখা নেই। চলতি মাসেও এ অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন না ব্যবসায়ীরা। তাই নতুন বছরের হালখাতায় কিছুটা লাভের অংক তুলতে খুচরা ব্যবসায়ীরাও দিচ্ছেন নানা অফার।এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও গ্রামীণ জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী ডা. দিলীপ রায় জাগো নিউজকে বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশের সামগ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের মন্দাভাব চলছে। যার কারণে স্বর্ণের গহনা প্রতি মানুষের আগ্রহ কমেছে। এছাড়া স্বর্ণের গহনা সৌখিন পণ্য। চলমান পরিস্থিতিতে মানুষ নিত্যপণ্য যোগাতেই হিমশিম খাচ্ছে। তারা কি আর গহণা কিনবে। আর গহণা বিক্রি না হলেও আমাদের দোকান ভাড়া, কর্মকর্তা ও কর্মচারী বেতন সব মিলিয়ে খুব খারাপ অবস্থায় দিন পার হচ্ছে।স্বর্ণের দাম কম থাকলেও বর্তমান অবস্থায় পহেলা বৈশাখেও বেচা বিক্রি বাড়ার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না তিনি। তার মতে, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় অন্যান্য ব্যবসার মতই ক্ষতির শিকার স্বর্ণ ব্যবসা। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ঘুরে দাঁড়াবে না এ খাত।এসআই/এএইচ/আরআই

Advertisement