খেলাধুলা

রেকর্ড জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

দুই দলই যেন উড়ছে। চলতি মৌসুমে নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দেখিয়ে আসছে। কিছুদিন আগেই নিজেদের মাটিতে চ্যাপেল-হ্যাডলি সিরিজে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। শুধু হারানোই নয়, ওয়ানডে ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট কেড়ে নিয়ে পরিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকানদের মাথায়। যারা সর্বশেষ শ্রীলংকাকে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে।এই দুটি দলই এবার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। হ্যামিল্টনের স্যাডন পার্কে বাংলাদেশ সময় কাল সকাল ৭টায় মুখোমুখি হচ্ছে বর্তমান সময়ে ওয়ানডেতে সেরা ফর্মে থাকা দুই দল নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচের মধ্য দিয়েই হয়তো নিজেদের গড়া একটি রেকর্ড ছুঁতে যাচ্ছে প্রোটিয়ারা। গত সেপ্টেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত টানা ১১টি ম্যাচে জয় পেয়েছে ফ্যাফ ডু প্লেসিসের দল। নিউজিল্যান্ডকে এই ম্যাচে হারাতে পারলে ওয়ানডেতে তাদের পুরনো রেকর্ড টানা ১২ ম্যাচ জয়ের সমতায় চলে আসবে তারা। পরের ম্যাচে হারাতে পারলেই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।সেপ্টেম্বরের ২৫ তারিখ বেনোনিতে আয়ারল্যান্ডকে ২০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে জয়ের এই অভিযাত্রা শুরু প্রোটিয়াদের। এরপর গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেই নিজেদের মাটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বশেষ জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলংকাকে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করলো তারা।এবার আর ঘরের মাঠে নয়, নিউজিল্যান্ডের মাঠে গিয়েই কিউই বধ করার পরিকল্পনা দক্ষিণ আফ্রিকার। সে সম্ভাবনার ইঙ্গিতও দিয়েছে তারা। শুক্রবার ইডেন পার্কে স্বাগতিকদের ৭৮ রানে হারিয়ে দেয় সফরকারীরা। এই ম্যাচই এখন প্রোটিয়াদের তাতিয়ে তুলছে। হ্যামিল্টনে জিততে পারলেই যে নিজেদের রেকর্ডেই ভাগ বসিয়ে দেবে ডু প্লেসিসরা!তবে, ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই কিন্তু টানা জয়ের রেকর্ড হবে না। এই রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়া এমন এক জায়গা নিয়ে গিয়েছিল, যা খুব সহজে কেউ ভাঙতে পারবে কি না সন্দেহ। ২০০৩ সালের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত টানা ২১টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছিল রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়া। টানা ১২টি করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তানের। ২০০৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা এই রেকর্ড গড়েছিল। আর পাকিস্তান গড়েছিল ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে।আইএইচএস/জেআইএম

Advertisement