জাতীয় নির্বাচনে (৫ জানুয়ারি) অংশ না নিয়ে বিএনপি যে বড় ভুল করেছে তার উপলব্ধি হয়েছে প্রায় এক বছর পর। পরবর্তীতে কয়েকটি বিভাগে মেয়র নির্বাচন ও উপজেলা নির্বাচনেও হেয়ালিপনা ছিল দলটির। সর্বশেষ তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঝিমিয়ে চলা নীতি অন্যান্য দল থেকে অনেক পিছিয়ে রেখেছে বিএনপিকে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন গত ১৮ মার্চ তিন সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই দেশের অন্যতম বড় এ দলটি সিটি নির্বাচনে অংশ নিবে কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক বোদ্ধাসহ সর্বমহলে আলোচনা শুরু হয়। তবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে বা শিগগিরই জানানো হচ্ছে বলে সময় ক্ষেপণ করে আসছে দলটির নেতারা। তফসিল ঘোষণার ১৮ দিন পার হলেও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাতে সক্ষম হয়নি।তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা না দিলেও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদেরকে দিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের প্রার্থীতা বাতিলও হয়েছে। অনেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতে আপিলও করেছেন। এদিকে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা উত্তরের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল আউয়াল মিন্টুর আপিল আবেদনের শুনানি শেষে তার মনোনয়নপত্র চূড়ান্তভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।এদিকে, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সিইসিকে কয়েকটি শর্ত দিয়েছে বিএনপি। এর আগে বিএনপি সমর্থিত বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীরা সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ করার জন্য শর্ত দিয়ে আসছেন। সব মিলিয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করলেও এখনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে পরিষ্কার করে দলটির পক্ষ থেকে কিছুই বলা হয়নি। ফলে কারা এ নির্বাচনে অংশ নিয়ে লড়াই করবেন তাও অস্পষ্টই রয়ে গেছে। এছাড়া বিএনপি সর্মথিত প্রার্থী ও দলের নেতাকর্মীরা বিয়ষটি নিয়ে এখনও অন্ধকারে রয়েছেন।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জাগোনিউজকে বলেন, নির্বাচনের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় এখনো আসেনি। এটাতো স্থানীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে দলের পক্ষ থেকে সমর্থন দেয়া হয়। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে সময় এখনও পার হয়নি।তিনি আরো বলেন, যদি কেউ মনে করেন এ লড়াইয়ে বিএনপি পারছে না। তবে সেটা ভুল।এমএম/এএইচ/আরআই
Advertisement