ওয়াজ মাহফিলের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের দলকা-লক্ষ্মীপুর গ্রামে পুলিশ-গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ৪ পুলিশসহ ১১ জন আহত হয়েছেন।শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে।আহত চার পুলিশ সদস্যের মধ্যে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন, ভগিরথপুরের ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই ফারুক, লক্ষীপুর ক্যাম্পের পুলিশ কনেস্টেবল শহিদুল ও জুয়েল। অন্যদিকে আহত ৭ যুবক হলেন, সেলিম জোয়ার্দ্দার (১৮), স্বাধীন (১৭), মিলন (২৫), হুমায়ুন (১৭), মিজান (১৬), আজাবুল (১৭) ও আলীম (২০)। সবাই স্থানীয় হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।এদিকে দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জামিরুল ইসলাম দাবি করেছেন, আহত ৭ যুবকই ছাত্রলীগের কর্মী।এ ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় অজ্ঞাত ১৫শ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, দলকা-লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুবেদার (এসআই) রবিউলকে রাতেই পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, রাতেই অজ্ঞাত দেড় হাজার লোকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ১৯ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়েছে।এলাকবাসী জানান, বিকেল সাড়ে ৫ টায় গ্রামের ওয়াজ মাহফিলের জন্য টাকা তুলছিল এলাকার কয়েকজন ছেলে। এসময় দলকা-লক্ষ্মীপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা তাদেরকে ধরে নিয়ে যায় ক্যাম্পে এবং প্রচণ্ড মারধর করে। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যার পর গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে একযোগে পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালায়। এসময় পুলিশ-গ্রামবাসী সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। এসময় পুলিশসহ ১১ জন আহত হন।খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।এদিকে বিষয়টি নিয়ে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান গ্রামবাসীদের সাথে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। বৈঠক থেকে ফিরে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে অনাকাঙ্খিত এই ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে পরবর্তীতে আর কোনো অঘটন ঘটবেনা বলে বৈঠকে আলাপ আলোচনায় পুলিশ ও গ্রামবাসী এক মত হয়েছেন। এমএএস/পিআর
Advertisement