প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন সংশোধন করে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। প্রশ্ন ফাঁস প্রতিরোধে বুধবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
Advertisement
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘দ্য পাবলিক এক্সামিনেশনস (অফেন্স) ১৯৮০ (অ্যামেন্ড ১৯৯২) অ্যাক্ট’ সংশোধন করে প্রশ্ন ফাঁসকারী এবং প্রশ্ন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও রটনা সৃষ্টিকারীদের জেল, জরিমানা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। একই সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁস ও এ সংক্রান্ত প্রচারণার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।’১৯৮০ সালের আইনে প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রকাশ বা বিতরণের সঙ্গে জড়িতদের ন্যূনতম তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডের বিধান ছিল। ১৯৯২ সালে আইনটি সংশোধন করে সর্বোচ্চ শাস্তি চার বছর করা হয়।পাবলিক পরীক্ষায় বিকল্প দুই সেটের পরিবর্তে ৩২ সেট প্রশ্ন প্রণয়ন করা হবে জানিয়ে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন ফাঁস হলেও শিক্ষার্থীদের বইয়ের সবকিছু পড়তে হবে।’সভায় শিক্ষাসচিব মোহাম্মদ সাদিক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা মাধ্যমিক অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগমসহ অন্যান্য বোর্ডের চেয়ারম্যানরা, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রতিনিধি ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।