জাতীয়

কায়সারের রায় যে কোনো দিন

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপারাধের মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক কৃষি প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সারের রায় যে কোনো দিন ঘোষণা করা হবে।এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বুধবার চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ যে কোনো রায় ঘোষণা করা হবে মর্মে মামলাটি সিএভিতে রাখার আদেশ দেন। একই সঙ্গে কায়সারের জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।এর আগে মঙ্গলবার সকালে কায়সারের পক্ষে অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। এর পর রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ ও রানা দাশ গুপ্ত পাল্টা আইনি পয়েন্টে যুক্তি উপস্থাপন করেন। মামলার চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন শেষে যে কোনো দিন রায় দেওয়া হবে বলে আদেশ দেন আদালত।গত ৭ আগস্ট থেকে কায়সারের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুস সোবহান তরফদার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। একই দিনে রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ষষ্ঠ কার্যদিবস কায়সারের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে।২৩ জুলাই প্রসিকিউশনের ৩২তম সাক্ষী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মনোয়ারা বেগমের জেরা শেষে আদালতের নির্দেশে প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত কায়সারের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। ওইদিন থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত মোট ছয় কার্য দিবস আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত।এর আগে এ মামলায় ৩১ জন সাক্ষী কায়সারের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামিপক্ষ তাদেরকে জেরাও করেন। তবে ট্রাইব্যুনালে এই প্রথম কোন আসামি হিসেবে কায়সারের পক্ষে কোন সাফাই সাক্ষ্য দেওয়া হয় নায়।২ ফেব্রুয়ারি সৈয়দ কায়সারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল-২। গত বছরের ১৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আদালত।কায়সারের বিরুদ্ধে গণহত্যার একটি, হত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি এবং ধর্ষণের দু’টিসহ মোট ১৬টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। ৪ মার্চ তার বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন প্রসিকিউশন।

Advertisement