জিনের বাদশা পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আটক মনিরুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি পিতলের মূর্তি এনে শার্শা কলেজের সামনের একটি গাছের নিচে রেখে মোবাইল ফোনে শার্শার আওয়ামী লীগের নেতা হরিণা গ্রামের সৈয়দ আলীকে গুপ্তধনের সংবাদ দেন। এরপর তার কাছ থেকে দু’দফায় সে বিকাশের মাধ্যমে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। বৃহস্পতিবার আসামির দেয়া জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক প্রণব কুমার হুই। মনিরুল গাইবান্ধার চণ্ডীপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে।মামলার অভিযোগে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি আসামি মনিরুল ইসলাম সৈয়দ আলীর মোবাইলে ফোন করে নিজেকে জিনের বাদশা পরিচয় দেন। তার ভাগ্যে অনেক গুপ্তধন আছে। তার কথামত চললে গুপ্তধন পেয়ে সে কোটিপতি হবে বলে জানান তিনি। মসজিদ মাদ্রাসা ও মাজারে সিন্নি দেয়ার কথা বলে মনিরুল তিন লাখ টাকা নিয়েছেন। পরে মনিরুলের কথামত পাওয়া মূর্তিটি পিতলের হওয়ায় তার ছেলে আব্দুর রহিম বাদী হয়ে ১২ মার্চ শার্শা থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সঞ্জিত কুমার মোবাইলের কললিস্ট ধরে মনিরুলকে গাইবান্ধা থেকে আটক করেন। রিমান্ড শেষে আদালতে সোপর্দ করলে তিনি বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেন।মনিরুল জানিয়েছেন, তিনি নিজেকে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জনের মোবাইলে ফোন করতেন। একদিন শার্শার সৈয়দ আলীকে ফোন করলে তিনি তার কথায় বিশ্বাস করেন। তাকে গুপ্তধণ পাইয়ে দেয়ার কথা বলেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজে শার্শা কলেজের সামনের শিশু গাছের নিচে একটি পুতুল রেখে যান। এরপর সৈয়দ আলীকে ফোন করে ওই গাছের নিচে গুপ্তধন আছে বলে জানান। সৈয়দ আলী তার কথামতো সেখান থেকে একটি মূর্তি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। মূর্তিটি খুললে পরিবারের সকলে মারা যাবে বলে তাকে ভয় দেখিয়ে খুলতে নিষেধ করেন। তিনি যে গুপ্তধন পেয়েছেন তাতে কোটিপতি হওয়া যাবে বলে মনিরুল মসজিদ, মাদ্রাসায় ও মাজারে সিন্নি দেওয়ার কথা বলে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। সৈয়দ আলী তার কথায় বিশ্বাস করে বিকাশ নাম্বারের মাধ্যমে তাকে তিন লাখ টাকা দিয়েছিলেন। আসলে সৈয়দ আলীকে দেয়া মূর্তিটি পিতলের বলে জানিয়েছেন মনিরুল ইসলাম।এমজেড/পিআর
Advertisement