দেশজুড়ে

রাগীব আলী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

পলাতক থেকে পত্রিকা সম্পাদনা করে প্রতারণার অভিযোগে সিলেটের আলোচিত ব্যবসায়ী ‘দৈনিক সিলেটের ডাক’র প্রকাশক ও সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি রাগীব আলী এবং তার ছেলে পত্রিকাটির সাবেক সম্পাদক আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত।বুধবার সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো শুনানি শেষে এই মামলায় চার্জ গঠনের আদেশ দেন।গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর তাদের বিরুদ্ধে একটি দরখাস্ত মামলা করেন সুনামগঞ্জের ছাতক প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সিলেট নগরের শাহজালাল উপশহরের বাসিন্দা মো. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। মামলায় বাদী পক্ষে আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী শিল্পপতি রাগীব আলী এবং তার ছেলে আব্দুল হাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বিচার শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।জালিয়াতি মামলায় ভারতে পালিয়ে গিয়ে পলাতক অবস্থায় পত্রিকা সম্পাদনা করে পাঠকের সাথে প্রতারণা ও মুদ্রণ আইন লঙ্ঘনের অপরাধে সিলেটের ডাক’র প্রকাশক রাগীব আলীর ৫৮ বছর ও তার ছেলে পত্রিকাটির সম্পাদক আবদুল হাইয়ের ২৯ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেন মামলার বাদী। গত ৮ সেপ্টেম্বরই মামলাটি আমলে নিয়ে আদালত দণ্ডবিধির ৪১৭ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। তবে সমন পাওয়ার পর জবাব না দেয়ায় পরের মাসে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম।মামলার বাদী তার দরখাস্তে বলেন, কোনো পলাতক আসামি আইনের সুবিধাভোগী হতে পারে না। সংবাদপত্র একটি আইনি প্রকাশনা। সিলেটের ডাক’র সম্পাদক ও প্রকাশক আদালতে আত্মসমর্পণ না করে স্বীয় নাম ব্যবহার করে পত্রিকা প্রকাশ করতে পারেন না। আইন লঙ্ঘন করে নাম ব্যবহার করে পাঠকদের সঙ্গে ফাঁকিবাজি ও প্রতারণা করা হচ্ছে। গত ১১ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই তাদের নাম যুক্ত করে দৈনিক সিলেটের ডাক প্রকাশক্রমে প্রতারণার অপরাধ করে চলেছেন। পলাতক অবস্থায় সম্পাদনাজনিত প্রতারণার জন্য আবদুল হাই ২৯টি সংখ্যা প্রকাশ করে ২৯টি শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। অন্যদিকে রাগীব আলী প্রকাশক ও মুদ্রক হিসেবে দ্বৈত সত্ত্বায় প্রতিদিন দুটি করে অপরাধের দায় বহন করায় অপরাধের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৮টি। প্রতিদিনের অপরাধের জন্য রাগীব আলীর ৫৮ বছর ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের ২৯ বছর কারাদণ্ডের আবেদন করেন মামলার বাদী।মামলায় বাদী পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবুল হাসান, অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুজিবুল হক।ছামির মাহমুদ/আরএআর/এমএস

Advertisement