বিশেষ প্রতিবেদন

বাজারে মাংস নেই!

রাজধানীর পলাশীতে বুয়েট মার্কেটে প্রবেশের পূর্বদিকের গেটের পাশেই আবদুল মজিদের মাংসের দোকান। ওপরে লাল রংয়ের কালিতে আবদুল মজিদ মাংস দোকান, এখানে উন্নতমানের দেশি গরুর ও খাসির মাংস পাওয়া যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাংস সরবরাহ করা হয় লেখা রয়েছে। সপ্তাহখানেক আগেও এ পথে বাজারে প্রবেশ করতেই মাংস দোকানির উচ্চকণ্ঠে ডাকাডাকি ও কসাইকে ধারাল ছুরিতে মাংস কোপানোর দৃশ্য নিয়মিত দেখা যেতো। কিন্তু আজ (বুধবার) সকাল বেলার দৃশ্য ছিল একবারেই ব্যতিক্রম। নেই মাংস বিক্রেতা, ফাঁকা পড়ে আছে দোকান। একটু এগিয়ে যেতেই দেখা গেল আরেকটি মাংসের দোকানে এক কিশোর কাঁথা মুড়ি দিয়ে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। পাশে ডিমের খাঁচি ও বালতি পড়ে আছে। আবদুল মজিদ মাংস দোকানের সাইদ নামের এক ব্যক্তি জানান, গাতবলী পশুরহাট ইজারাদারদের দুর্ব্যবহার ও অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ‌‌দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের অবহেলার প্রতিবাদে ঢাকা মেট্রোপলিটন ও বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বানে শনিবার থেকে ধর্মঘট চলছে। আগামী সোমবারের মধ্যে চারদফা দাবি মানা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলবে। তবে চার দফা দাবি কি কি তাৎক্ষণিক তা তিনি বলতে পারেননি।রুবেল রহমান নামে একজন মাংস বিক্রেতা জানান, সিটি করপোরেশন প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪২০ টাকা ও খাসির মাংস ৫৭০ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু গাবতলীসহ বিভিন্ন বাজারে গরু ও খাসি বেশি দামে কিনতে হয় বিধায় তারা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে মাংস বিক্রি করতে বাধ্য হন। এ নিয়ে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা তাদের নানাভাবে নাজেহাল করেন। এ কারণে ধর্মঘট চলছে।লালবাগের বাসিন্দা সুলতানউদ্দিন আজ সপরিবারে একটি হোটেলে গিয়েছিলেন তেহারি খাওয়ার জন্য। কিন্তু অর্ডার দেয়ার সময় জানতে পারেন বাজারে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ, তেহারি হবে না। বিকল্প হিসেবে তাই নিরুপায় হয়ে তাদের মোরগপোলাও খেতে হয়েছে। এমইউ/এমএমজেড/পিআর

Advertisement