যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা রাজ্যে কোন নারী গর্ভপাত করাতে চাইলে তাকে অবশ্যই তার সঙ্গীর অনুমতি নিতে হবে। নারী চাইলে তার একক সিদ্ধান্তে গর্ভপাত করাতে পারবেন না। এ সংক্রান্ত একটি বিল একধাপ এগিয়ে গেছে। খবর বিবিসির।এ বিলটিতে বলা হয়েছে, কোন ডাক্তার গর্ভপাত করার আগে সংশ্লিষ্ট নারীর কাছ থেকে তার সঙ্গীর দেয়া লিখিত অনুমতি দেখে নেবেন। তবে অনেকে এ ধরনের বিলের সমালোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭৩ সালে গর্ভপাত আইনগতভাবে বৈধ করা হয়েছে। কিন্তু এর পক্ষে-বিপক্ষে দেশটিতে তীব্র মতপার্থক্য রয়েছে।ওকলাহোমার আইন-প্রণেতারা এমন এক সময়ে এ ধরনের বিল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন, যখন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনকালে গর্ভপাত বিরোধী আন্দোলন আরো জোরদার হচ্ছে।গর্ভপাতের পক্ষে নন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার মতে, যে যেসব নারী গর্ভপাত করাবে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। এছাড়া একজন গর্ভপাত বিরোধী বিচারক নিয়োগের কথাও বলেছিলেন তিনি।তবে ওকালাহোমা রাজ্যে যে বিলটি অগ্রসর হচ্ছে সেখানে ধর্ষিতা এবং যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের গর্ভপাতের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে। এ বিলটি সামনে এনেছেন ওকলাহোমার আইন-প্রণেতা জাস্টিন হামফ্রে।যেসব নারী গর্ভপাত করাতে চায় তাদের উদ্দেশ করে হামফ্রে বলেন, ‘আপনি যখন কোন সম্পর্কে জড়াতে যাচ্ছেন তখন আপনি জানেন যে এটা হতে পারে। সেজন্য আগে থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিন যাতে আপনি গর্ভবতী না হন।’ওকলাহোমা রাজ্যে গর্ভপাত বিরোধী বিভিন্ন ধরনের কড়া বিধি-নিষেধ আছে। ধারণা করা হচ্ছে এ বছরের শেষের দিকে ভোট গ্রহণের মাধ্যমে নতুন উত্থাপিত এ বিলটির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।টিটিএন/পিআর
Advertisement