একুশে বইমেলা

ই-বুকের বইমেলা

প্রযুক্তি অগ্রসরতা মানুষের কাজের পরিধি কমিয়ে দিচ্ছে। দু’চারদিন সময় লাগা কাজটি হচ্ছে ক্ষণিকের মধ্যেই। প্রযুক্তির এ সহজলভ্যতার হাওয়া লেগেছে বইমেলায়ও। কাগজের বইয়ের সঙ্গে বইমেলায় মিলছে ই-বুকও। পাঠকপ্রিয়তাও পেয়েছে বেশ।অমর একুশে বইমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রয়েছে তিনটি ই-বুকের স্টল; বইঘর, ই-বই এবং সেই বই। মেলার ১৪তম দিনেও স্টলগুলোতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। পাঠকরা আসছেন, নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপ ডাউনলোড করে অ্যাপলিকেশন ফরম পূরণ করছেন। কিনছেন পছন্দের বই। বিশ্বব্যাপী ই-বুকের প্রচলন আরও আগের হলেও বাংলাদেশে দিন দিন ই-বুক জনপ্রিয় হচ্ছে। স্টলে থাকা রিপ্রেজেনটেটিভরা নিজেদের কার্যক্রম সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছেন দর্শনার্থীদের।বাংলা সাহিত্যকে ডিজিটালাইজেশন করার জন্য কাজ করছে ই-বুক লাইব্রেরি ‘সেই বই’, ই-বই এবং বইঘর। নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিনামূল্যে অনলাইন লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠানগুলো অ্যান্ড্রয়েট ও আইওএসনির্ভর স্মার্টফোন এবং ট্যাব ব্যবহারকারী গ্রাহকদের অ্যাপটি ডাউনলোড ও ইনস্টল করে দিচ্ছে।তিনটি স্টলে দায়িত্ব পালনরত রিপ্রেজেনটেটিভদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোবাইলে অ্যাপস ডাউনলোড করে গ্রাহকরা বেশিরভাগ বই বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে কিছু বিশেষ গ্রন্থ কিনতে হচ্ছে গ্রাহকদের। একজন গ্রাহক তার ডেবিট, ক্রেডিট, ভিসা, মাস্টারকার্ড, বিকাশ, এমক্যাশ, ইউক্যাশ, রকেট, মাইক্যাশ ইত্যাদিসহ যেকোনো পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে বই কিনতে পারছেন। এছাড়া বইমেলা উপলক্ষে সেই বই তাদের সব ই-বুক ৫০ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করছেন।ই-বুকের কারণে একজন পাঠক বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে অনলাইন স্টল থেকে পছন্দের বই খুব সহজভাবে পড়তে পারছেন, যা পাঠকদের বই পড়ার ক্ষেত্রে অনেকটা সহজলভ্য করে দিয়েছে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাজ্জাদ হাসান বলেন, কাগজে বই সবসময় নিয়ে ঘোরা সম্ভব হয় না। তাই সুযোগ পেলে অনলাইনে যদি বই পড়া যায় তাহলে খারাপ কি। অর্থও সাশ্রয় হয়। তবে তিনি কাগজে বইয়ের আবেদন কমবে না বলে মনে করেন।এএসএস/ এমএইচ/এএইচ/জেআইএম

Advertisement