বিশ্বজুড়ে ভালোবাসা দিবস উদযাপনে মেতে উঠেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। ভালোবাসা প্রকাশে বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন নেই বলে অনেকেই মন্তব্য করলেও বিশেষ একটি দিনে ভালোবাসা জানাতে আপত্তি নেই বলেও বলছেন অনেকে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বিশেষ এই দিনের যে তথ্য দিচ্ছেন তাতে অনেকেরই চোখ ছানাবড়া হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশেষ এ ভালোবাসা দিবসে বাড়ছে আত্মহত্যার পরিমাণ। একাকীত্বে ভোগা মানুষরাই প্রিয়জনকে ছেড়ে আত্মহত্যাকে বেছে নিচ্ছেন। মার্কিন মনোবিজ্ঞানী জন রবার্টসন বলেছেন, ভালোবাসা দিবসই হচ্ছে ভ্যালেন্টাইন্স ডে। কিন্তু এই দিনে অনেকেই মনে করেন তারা ভালোবাসাবঞ্চিত অথবা তারা যাদের সঙ্গে আছেন তাদের ভালোবাসার অযোগ্য।বিজ্ঞানীরা মনে করেন, বিষণ্নতা এবং আত্মহত্যার মধ্যে সম্পর্ক আছে এবং যারা একাকীত্বে ভোগেন তাদের অনেকেই ভালোবাসা দিবসে সচেতন হন। রবার্টসন বলেছেন, এই মানুষরা ধরেই নেন যে তাদের জীবন একটা বোঝা এবং আপনজনরা তাদেরকে ছাড়া বেশি ভালো থাকবেন।ভালোবাসার মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য বিশেষ এই একটি দিনকে বিশ্বজুড়ে বেছে নেয়া হলে যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমিতি শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন করতে ভিন্ন ধরনের কাজ করছেন। টেনেসির এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমিতি শিক্ষার্থীদের বছরজুড়ে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, তারা বছরের প্রত্যেক দিনেই সমানভাবে মূল্যায়িত। ছাত্র সমিতির সভাপতি কার্সন হলিংসয়ার্থ বলেন, অতীতে এই ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করেছে এবং এটি সবাইকে প্রভাবিত করেছে। এমনকি আপনি নিহতদের প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে না চিনলেও সবাই প্রভাবিত হয়েছে। মনোবিজ্ঞানী রবার্টসন বলেন, নিজেকে যদি আত্মঘাতী মনে হয়; তাহলে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার উপায় আছে। ‘আত্মহত্যা হলো সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান। বিষণ্নতা চিকিৎসার যোগ্য। চিকিৎসকের কাছে যান, বিষণ্নতার চিকিৎসা নিন। এতে আপনি ভালো বোধ করবেন এবং কখনোই আত্মহত্যা করতে পারবেন না। আপনার বাকি জীবনে সুখী হবেন।’যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় টেলিভিশন লোকাল৮নাউ’র প্রতিবেদনে ভালোবাসা দিবসে আত্মহত্যা বাড়ছে বলে জানানো হলেও আত্মহত্যার কোনো পরিসংখ্যান জানানো হয়নি। এসআইএস/জেআইএম
Advertisement